বড়দিনে এ বার পার্ক স্ট্রিটে নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বে থাকছেন প্রায় ৩০০০ পুলিশকর্মী (Kolkata Police)। ১১ ওয়াচ টাওয়ার থেকে চালান হবে নজরদারি। প্রথমে ক্রিসমাস ইভ, তারপর বড়দিন এবং সবশেষে ৩১ ডিসেম্বর বর্ষবরণের আনন্দে মাতবে শহর থেকে শহরতলির মানুষ। সেই কারণে পার্কস্ট্রিট সংলগ্ন এলাকায় রাখা হচ্ছে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা। পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন শপিংমল এবং চার্চগুলিতে মুড়ে ফেলা হবে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। নজরদারি চালান হবে মেট্রো স্টেশনগুলিতে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরভোটে জয়ী নির্দল কাউন্সিলররা কি তৃণমূলে? গুঞ্জনে জল ঢেলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়...
*পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৩ হাজার পুলিশ কর্মী।
*১১টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলবে নজরদারি।
*১৫টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র।
*মোতায়েন থাকবে ২টি ক্যুইক রেসপন্স টিম।
*সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও চলবে নজরদারি।
*শপিংমল এবং চার্চগুলিতে মুড়ে ফেলা হবে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে।
*নিরাপত্তা ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে পার্ক স্ট্রিট মোড়ের কাছে থাকছে পুলিশের অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম।
*মেট্রো স্টেশনের বাইতে অতিরক্ত নিরাপত্তারক্ষী।
*ভিড়ে মিশে কলকাতা টহল থেকে কলকাতা পুলিশের মহিলাদের টিম 'উইনার্স'।
*২টি ক্যুইক রেসপন্স টিম।
*মোটর সাইকেল পেট্রোলিং।
*শহরের মানুষের নিরাপত্তায় রাস্তায় থাকবেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানশালার বাইরে যাতে ভিড় না জমে, সেই বিষয়ে নজর রাখা হবে। রেস্তোরাঁ ও পানশালার ভিতর যাতে করোনা বিধি কড়াভাবে মানা হয়, পুলিশের পক্ষ থেকে তা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাইকিং করে পুলিশ পারস্পরিক দূরত্ব মেনে চলা, মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতা চালাবে।
নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিট ও তার সংলগ্ন এলাকায় ১১ ওয়াচ টাওয়ার তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। সেখান থেকে বাইনোকুলারে নজর রাখা হবে। ক্রিসমাস ইভ থেকেই পুরো পার্কস্ট্রিট অঞ্চলকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবেন একজন করে ডিসি পদমর্যাদার পুলিশকর্তা এবং একজন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক।