ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সূত্র পেয়েছেন গোয়েন্দারা। গত ২৬ সেপ্টেম্বর কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর আসে, দিল্লি থেকে ১১৭টি চোরাই মোবাইল ফোন কলকাতা হয়ে ভায়া মালদা পাচার হচ্ছে। মোবাইল ফোনগুলি বাক্সে প্যাকিং করা অবস্থায় কলকাতা ১৯,বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের একটি কুরিয়ার কোম্পানিতে রয়েছে। খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকেরা ওই কুরিয়ার সংস্থায় তল্লাশি চালায় ও সেখান থেকে দুটি বাক্স উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, সেই দুটি বাক্সে মোট ১১৭টি মোবাইল ফোন ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: কখন-কীভাবে টাকার নোটে এল মহাত্মা গান্ধির ছবি? জানেন সেই ছবি তোলা হয়েছিল এই কলকাতাতেই!
মোবাইলিগুলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সূত্রের খবর, সংস্থার তরফ থেকে মোবাইলের কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ওই সংস্থা। তবে গোটা বিষয়ে জোড়াল হয়ে ওঠে একটি প্রশ্ন! সীমান্তবর্তী জেলা মালদাতেই কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল মোবাইল ফোনগুলি?
এরই ব্যাখ্যা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল৷ বিষয়টি হল, চোরাই মোবাইল যিনি বিক্রি করবেন, বা যিনি কিনবেন, দুজনেরই পুলিশের কাছে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সূত্র বলছে, মোবাইল ফোনগুলি অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে পাচার করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে নাকি ব্যবহৃত মোবাইলের চাহিদা রয়েছে। মোবাইল ফোন কোনওভাবে বাংলাদেশে পাচার করতে পারলে তারপর আর আমাদের দেশের পক্ষে সেই মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ধরা সম্ভব হয় না। যার ফলে বহু চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ে ফেলেও তার হদিস পান না পুলিশ।
আবার অনেক সময় আইফোন কিংবা দামি চুরির মোবাইল ফোন খুলে ফেলা হয় মোবাইলের পার্টস বের করার জন্য৷ সেগুল রিপেয়ারিংয়ের কাজে বিক্রি করে বহু মোবাইল দোকানদার।
সব মিলিয়ে চুরি যাওয়া ৫০ শতাংশ মোবাইলই রয়ে যায় অধরা৷ এই ফোন পাচার চক্র খুব সক্রিয়ভাবে আমাদের রাজ্যে কাজ করছে বলে সূত্রের খবর। পুলিশ যাদের নাগাল পেয়েছে অনেকটাই। অতি দ্রুত একটা বড় চক্র পুলিশের জালে ধরা পড়তে চলেছে বলে সূত্রের খবর।