TRENDING:

ওয়াকিটকির হাতেই তুলি, মা দুর্গার চক্ষুদানে ব্যস্ত ‘কনস্টেবল’ সুকুমার 

Last Updated:

অভাবের সংসারে হঠাৎ স্কুল বয়সে নিজেই খড় মাটি দিয়ে শুরু মূর্তি গড়ার পাঠ। পড়াশুনোর পাশাপাশি সুকুমারের কাঁচা হাতে তৈরি হতে লাগল নানান রকম মাটির খেলনা মূর্তি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
অমিত সরকার, কলকাতা: ষষ্ঠ কী সপ্তম শ্রেণী তখন। বাড়ি থেকে কয়েক পা হাঁটলেই চোখে পড়ত মাটি মাখা, খড় বেঁধে কাঠামো তৈরি। স্কুল ফেরত হোক বা খেলে ফেরার সময়, কিশোর সুকুমারকে বার বার টানত সেই ভেজা মাটি-খড়। অভাবের সংসারে হঠাৎ স্কুল বয়সে নিজেই খড় মাটি দিয়ে শুরু মূর্তি গড়ার পাঠ। পড়াশুনোর পাশাপাশি সুকুমারের কাঁচা  হাতে তৈরি হতে লাগল নানান রকম মাটির খেলনা মূর্তি।
advertisement

পড়শিদের উৎসাহে প্রথম প্রতিমা যখন গড়লেন তখন দ্বাদশ শ্রেণী। শুরুর দিনের কথা বলতে গিয়ে এবার থামলেন সুকুমার। প্রতিমা গড়ার আনন্দ যেমন ছিল, তেমন ছিল অভাবের সংসার। নাম না জানা এমন কাউকে কেন প্রতিমা গড়ার অর্ডার দেবে পুজো কমিটিগুলো? এই টানাপোড়েনের মধ্যেই কলেজ ও মূর্তি গড়ার কাজ চলতে থাকল। কিন্তু সেই ভাবে উপার্জন নেই। সংসারের চাপ আসতে থাকে, লক্ষ্য হয়ে ওঠে চাকরি পাওয়ার তাগিদ। শুরু হয় একের পর এক চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি। তবে বন্ধ হয়নি খড়-মাটি নিয়ে মূর্তি গড়ার কাজ। হাত পাকতে শুরু করে। এক মৃৎশিল্পীর সহযোগী হয়ে কাজ শুরু হয়ে যায় । এরই মাঝে বাড়িতে এসে পৌঁছয় নিয়োগ পত্র।

advertisement

আরও পড়ুন- কলকাতায় শেষবারের মতো আসছেন ‘পদ্মের উমা’! অপেক্ষা করছে বড় চমক, বলছেন উদ্যোক্তারা

গাড়ি নিয়ে জেমস লং সরণি দিয়ে ছুটছেন, কোনও এক সিগন্যালে ওয়াকিটকি হাতে দাঁড়িয়ে সুকুমার। সুকুমার মণ্ডল, ২০০৯ সালে কলকাতা পুলিশে চাকরি পান তিনি। ট্রেনিং শেষে প্রথম বছর কয়েক রিজার্ভ ফোর্সে ছিলেন। ডিউটি করতেন কলকাতা পুরসভায়। পরবর্তীতে ট্রাফিক গার্ডে কনস্টেবল পদে নিজের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বর্তমানে কর্মরত জেমস লং সরণি ট্রাফিক গার্ডে। রোজ সেই ডিউটি সামলে বাড়ি ফিরে ঢুকে পড়েন বাঁশদ্রোণির ৩০ ফুট এলাকার নিজের স্টুডিওতে। সেখানেও এবার তৈরি হচ্ছে ছ’টি দুর্গা প্রতিমা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

ফি বছর কম বেশি পাঁচ থেকে সাতটি দুর্গা গড়েন সুকুমার। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে বাজার মন্দা। তবে যে হাতে ওয়াকিটকি, সেই হাতেই তুলি- হচ্ছে চক্ষুদান। দুটো ভিন্ন জগৎ কি ভাবে মেলাতে পারেন সুকুমার? নিজেই বললেন সেই কথা। সাদা উর্দি পরতেই শৃঙ্খলা কর্তব্যবোধ এই বিষয় চলে আসে, আর এই স্টুডিওতে ঢুকলে যখন তুলি হাতে তুললেই মন শান্ত হয়।শুধু দুর্গা প্রতিমা নয়। কালী জগদ্ধাত্রী থেকে সরস্বতী, গণেশ কিছুই বাদ নেই। সারা বছরই চলতে থাকে মূর্তি গড়ার কাজ। এক দিকে কঠোর শৃঙ্খলার বাহিনীর কর্তব্য অন্যদিকে শিল্প- দুই নিয়েই আগামী পেরোতে চান সুকুমার।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
ওয়াকিটকির হাতেই তুলি, মা দুর্গার চক্ষুদানে ব্যস্ত ‘কনস্টেবল’ সুকুমার 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল