এমন কি, রিটন দাস নামে কসবা থানার যে এসআই-এর বিরুদ্ধে এক চাকরিহারা শিক্ষকের পেটে লাথি মারার অভিযোগ উঠেছিল, কার্যত তাঁর পাশেও দাঁড়িয়েছেন পুলিশ কমিশনার৷ একই সঙ্গে অবশ্য তাঁর আশ্বাস, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা দেখা হবে৷
এ দিন অবশ্য কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বুধবার কসবার ঘটনায় শিক্ষকদের সঙ্গে বহিরাগতরাও জড়িত ছিল৷ নগরপাল বলেন, যে অফিসারের বিরুদ্ধে লাথি মারার অভিযোগ উঠছে, তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখুন তিনি নিজে কতটা আহত৷ শিক্ষকরা পুলিশকে মারবেন, এটা ভাবা যায় না৷ একজন পুলিশকর্মী তিন দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন৷ চিকিৎসকরা ১৪ দিন বেড রেস্ট নিতে বলেছেন৷ তার পর এমআরআই হবে৷ কবে হাঁটতে পারবেন বলা যাচ্ছে না৷
advertisement
কসবা থানার এসআই রিটন দাসের পাশে দাঁড়িয়ে নগরপাল বলেন, ওই অফিসারের কুঁচকিতে আঘাত করা হয়েছে৷ তাঁর কানের উপরে চড় মারা হয়েছে, কানের পর্দা ফেটে গেলে কে দায়িত্ব নিত? ওনার বুকেও চোট লেগেছে৷ চশমা ভাঙা ছিল, চোখ নষ্ট হলে কে দায় নিত? কেউ তো এখনও দায় নেয়নি৷ যাঁরা পুলিশকে মারল, তাঁদের বিরুদ্ধে তো কোনও কথা বলা হচ্ছে না৷ পুলিশকে তো শয়তান, দানব অনেক কিছু বলা হচ্ছে৷
নগরপাল অবশ্য দাবি করেছেন, গন্ডগোলের মধ্যে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে, নিয়মিত সে সম্পর্কে বাহিনীকে বোঝান হয়৷ এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিও আটকানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন নগরপাল৷ তার পরেও তিনি বলেন, ভুল পুলিশেরও হয়৷ কিন্তু পুলিশকে কেউ মারবে, আর পুলিশ পাল্টা কিছু করবে না, এটা হতে পারে না৷ যা হয়েছে, প্রত্যাশিত নয়৷ ভবিষ্যতে যাতে না হয়, দেখা হচ্ছে৷
কসবা থানার ওই বিতর্কিত এসআই রিটন দাসের বদলে ডিআই অফিসে গন্ডগোলের ঘটনার তদন্তভার সঞ্জয় সিং নামে এক অফিসারকে দেওয়া হয়েছে৷ নগরপাল অবশ্য দাবি করেছেন, প্রাথমিক ভাবে কর্তব্যরত থাকায় রিটন দাসই থানায় ওই এফআইআর রুজু করেছিলেন৷ পরে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে অন্য একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ এ রকম নজির অতীতে অনেক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নগরপাল৷
