শুধু তাই নয়, এ দিন কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে কসবার ঘটনার জন্য পাল্টা বিক্ষোভকারী শিক্ষকদেরকেই কাঠগড়ায় তুলেছে কলকাতা পুলিশ৷ দাবি করা হয়েছে, কসবার ঘটনায় অন্তত ১৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন৷ নগরপাল মনোজ ভার্মাও বলেছেন, শিক্ষকরা যে এমন মারমুখী হয়ে উঠবেন তা প্রথমে আন্দাজই করতে পারেনি পুলিশ৷ পুলিশকর্মীদের উপরে আক্রমণের দায় কেন কেউ নিচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি৷
advertisement
নগরপাল মনোজ ভার্মা বলেন, বুধবার কসবার ঘটনায় যে শিক্ষকরা ছাড়াও বহিরাগতরা জড়িত, আমরা সে বিষয়ে নিশ্চিত৷ প্রথমে যখন শিক্ষকদের মিছিল ডিআই অফিসে পৌঁছয় তখনই সেখানে বহিরাগতদের উপস্থিতি নজরে আসে৷ পরে তদন্ত চলাকালীনও আমরা বহিরাহতদের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি৷ তাঁদের আমরা চিহ্নিতও করেছি৷ তদন্ত চলছে বলে বহিরাগতদের নাম আমরা প্রকাশ করছি না৷
তবে এ দিন নগরপাল স্বীকার করে নিয়েছেন, কসবায় ডিআই অফিসে চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিযান যে এত বড় আকার নেবে, তা প্রথমে পুলিশ আন্দাজই করতে পারেনি৷ প্রাথমিক ভাবে ঘটনাস্থলে মাত্র ১২ থেকে ১৫ জনের পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছেন নগরপাল৷ গন্ডগোল বড় আকার নেওয়ায় পরে আরও বাহিনী নিয়ে আসা হয়৷ পুলিশের অভিযোগ, তালা ভেঙে, পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো উস্কানিও দেওয়া হয়েছিল বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে৷
মনোজ ভার্মা বলেন, শিক্ষকদের কর্মসূচিতে কী আশা করা হবে? সেখানে হিংসা, গন্ডগোল হবে? কর্মসূচি ছিল ডিআই অফিসে তালা দেওয়ার৷ তালা দেওয়া আর তালা ভাঙার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে৷ শিক্ষকরা পুলিশকে মারবেন, আমরা এটা কেউ ভাবতে পারে? আমরাও তাই প্রথমে সেই অনুযায়ী বাহিনী মোতায়েন করেছিলাম৷ পরে আরও বাহিনী নিয়ে আসা হয়৷
ঘটনাচক্রে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের পরই অনেকটা একই সুরে যুক্তি সাজিয়েছিল কলকাতা পুলিশ৷ কসবা কাণ্ডেও বহিরাগত তত্ত্বের পাশাপাশি পুলিশের গোয়েন্দা ব্যর্থতার বিষয়টিও তাই সামনে চলে এল৷