শুক্রবারের বৈঠকে নেতৃত্বে ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল-সহ ট্রাফিক পুলিশের শীর্ষ পুলিশ কর্তা ও ন’টি ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিডব্লুডি, কলকাতা পুরসভা, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল), রেল ও কলকাতা পোর্টের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, বৈঠকের শুরুতেই মূলত কোন ডিভিশন কত পুজো পুরনো, কত পুজো নতুন ও আকর্ষণীয় পুজোর তালিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বেশ কিছু ঘণ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কলকাতা শহরের রাস্তা মেরামত করতে হবে, যে রাস্তা যে দফতরের অধীনে তাদের খারাপ রাস্তা মেরামত করে বিপদ মুক্ত রাখতে হবে। এছাড়াও শহরের আনাচে-কানাচে যে সমস্ত জায়গায় কম নজর যায় সেই সমস্ত জায়গায় আলোর ব্যবস্থা করতে হবে পুজোর দিনগুলো।
advertisement
বিগত দিনের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ ৷ কারণ পুজোর দিনগুলো কম নজরে আসা জায়গা বা আলো না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহরে ছিনতাই বা শ্লীলতাহানির মত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই বছর আলোর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক টেটকাণ্ডে আরও চাপে মানিক, 'দুর্নীতি ফাঁস হবে', বিস্ফোরক সুকান্ত
এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় নানা ঘটনার সাক্ষী হিসাবে তদন্তকারী অফিসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজকেই হাতিয়ার করে ৷ কিন্তু সিসি ক্যামেরার সামনে গাছের ডাল হঠাৎ চলে আসায় তা কাজেই লাগে না ৷ অথচ পুজোর দিনগুলোয় লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারিতে অগ্রণী ভূমিকা নেয় সিসি ক্যামেরা। সেই কথা মাথায় রেখে সিসি ক্যামেরার সামনে চলে আসা ডাল বা গাছের অংশে ছাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয় বৈঠকে।
প্রসঙ্গত, রাস্তার বেহাল দশার জেরে কয়েকদিন আগে কাঁটাপুকুর রোডে একটি পথদুর্ঘটনায় মেয়র পারিষদ রাম পেয়ারে রামের ছেলে রাম কিঙ্করের মৃত্যু হয়েছে। সেই কথাকে মাথায় রেখেই রাস্তা মেরামতি নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়, যদিও মেট্রোরেলের কাজের জন্য যে সমস্ত রাস্তা খারাপ আছে সেই রাস্তায় পুজোর দিনে দুর্ভোগ যেন না হয় তার দিকেও নজর দেবার কথা ওঠে বৈঠকে।