TRENDING:

স্কুল ফি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় একইসঙ্গে স্বস্তি ও অস্বস্তি অভিভাবকদের

Last Updated:

কোন ছাত্রছাত্রীকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষা থেকে বার করে দিয়ে থাকলে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে হাইকোর্ট।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টে একই সঙ্গে স্বস্তিতে ও অস্বস্তিতে অভিভাবকরা। এক অভিভাবকের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের করা জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয় মঙ্গলবার। এদিনের শুনানি শেষে একগুচ্ছ অন্তর্বর্তী নির্দেশিকা জারি করে ডিভিশন বেঞ্চ। ১১২ স্কুলের কোনও ছাত্রছাত্রীকে অনলাইন ক্লাস বা অনলাইন পরীক্ষা থেকে বাদ দিতে পারবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশিকা বলবৎ থাকবে। একইসঙ্গে কোন ছাত্রছাত্রীকে স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষা থেকে বার করে দিয়ে থাকলে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে হাইকোর্ট।
advertisement

তবে অভিভাবকদের অস্বস্তির জায়গাও রয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। নির্দেশে বলা হয়েছে ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত  বকেয়া স্কুল ফি ৮০% পর্যন্ত মিটিয়ে দিতে হবে ১৫ অগাস্টের মধ্যে। স্কুল ফির অল্প কিছু অংশ বকেয়া থেকে থাকলেও কোনও ছাত্রছাত্রীকে অনলাইন ক্লাস বা পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া যাবেনা। অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল,  হেরিটেজ,  ডিপিএস, মডার্ন হাই, ক্যালকাটা পাবলিক স্কুল সহ একাধিক স্কুল রয়েছে নির্দেশের তালিকায়। মামলার মূল আবেদন ছিল লকডাউন ও আনলক পর্বে ক্লাস ছিল পুরোপুরি বন্ধ। সে ক্ষেত্রে স্কুল ফি বৃদ্ধি হয় কীভাবে। আবেদনে আরও জানানো হয় কম্পিউটার ক্লাস, ল্যাবরেটরি, লাইট, পাখা স্কুলের না চললেও সেই ফি চাওয়া কিসের ভিত্তিতে। স্কুল গাড়ি ছিল বন্ধ, সেক্ষেত্রে সেই গাড়ি ভাড়া করোনা আবহে কীভাবে নেয় স্কুল গুলি।

advertisement

মূলতঃ কলকাতা ও শহরতলির নামকরা বেসরকারি ১১২ স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা ঠোকে সংগঠনটি। সুপ্রিম কোর্ট ঘুরে মামলাটি আসে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবার জনস্বার্থ মামলাটির বিশেষ শুনানি হয় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে হয় ভার্চুয়াল শুনানি। মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত।বেসরকারি স্কুলের তরফে অ্যাডাদমাস ইন্টারন্যাশনাল এবং হেরিটেজ মামলায় সওয়াল করে এদিন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
একই দিনে হাওড়ায় দু'টি বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! ভয়াবহ রূপ নিল লেলিহান শিখা, অল্পের জন্য রক্ষা
আরও দেখুন

অ্যাডামাসের তরফে আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী জানান, 'করোনা আবহে সমস্ত কর্মীদের বেতন দিতে হয়েছে আমার স্কুলকে। সরকারি কোন অনুদানে চলেনা স্কুল। বিষয়টা হাইকোর্টের নজরে আনি আমরা।' রাজ্যের তরফে এডভোকেট জেনারেল আদালতকে জানান,  স্কুল ফি নিয়ে সমাধান সূত্র খুঁজে বের করতে  একাধিক আলোচনা হয়েছে। বেশকিছু নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতর।মামলায় আরও ১১০ স্কুলকে অন্তর্ভুক্ত করতে নোটিশ দেয় এদিন ডিভিশন বেঞ্চ। সব পক্ষের হলফনামা আসার পর মামলাটি ফের শুনানির জন্য আসবে অগাস্ট মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
স্কুল ফি নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলায় একইসঙ্গে স্বস্তি ও অস্বস্তি অভিভাবকদের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল