মুর্শিদাবাদের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা দীপ দাস। পারিপার্শ্বিক বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে ব্লেড খেয়ে নেয় সে। প্রথমে বাড়ির কেউ বিষয়টি বুঝতে না পারলেও আস্তে আস্তে পরিস্কার হতে থাকে গোটা বিষয়। ওই শিশুর মা জানান, "বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির আশপাশের আরও বাচ্চাদের সঙ্গে ছাদে ও খেলছিল। আচমকাই দেখি ও ঝিমিয়ে পড়ছে। দেখি ওর টুটির ওখানে একটু রক্ত। পাশাপাশি একটু ছোটো কাটা অংশ দেখতে পাই, যেখান থেকে অনুমান করি ওটা ব্লেড। বারবার পিঠ চাপড়াতে থাকি, তখন ওই ব্লেডটি পেটে নেমে যায়।"
advertisement
প্রথমে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় এক হাসপাতালে। সেখানে এক্স রে করে দেখা যায় পেটের মধ্যে একটি ব্লেড। তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ডিসেম্বর মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার হয় অস্ত্রোপচার। পেডিয়াট্রিক বিভাগের চিকিত্সক পেডিয়াট্রিক সার্জেন্ট নীরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে হয় অস্ত্রোপচার। চিকিত্সক জানান, "শিশুটির আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হয়। দেখি পাকস্থলীতে ব্লেডটা আটকে ছিল। পরেরদিন আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সম্পূর্ণ অজ্ঞান করে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। আমরা ভয় পাচ্ছিলাম পাকস্থলীতে অনেক ফ্লুইড থাকে। ফলে সেটায় যাতে কোনও সমস্যা না হয়। ব্লেড-টি যদি ওই শিশুর পাকস্থলীতে ঢোকার আগে ইসোফেগাসে কিংবা শ্বাসনালীতে আটকে যেত, তাহলে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হত। " প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে অস্ত্রোপচার। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ শিশুটি। কিছুদিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।