মৃত দীপঙ্করের দাদা রাজীব সাহার বক্তব্য,' কলকাতা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ গোটা ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই ঘটনার প্রকৃত বিচার চেয়ে আমরা সিবিআই তদন্তের আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি'। প্রসঙ্গত, রাজীব সাহা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। গত কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে তিনি দলের প্রার্থীও হয়েছিলেন। বিজেপি পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণেই শাসক দলের নির্দেশে পুলিশ তাঁর ভাইকে 'খুন' করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।
advertisement
গোটা ঘটনায় আনিশ কান্ডের ছায়া দেখছে সাহা পরিবার। দীপঙ্করের মা প্রতিমা সাহা কলকাতার পুলিশ কমিশনার এবং গল্ফগ্রিন থানার ওসির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগ পেয়ে সাব ইন্সপেক্টর তামাং ও কনস্টেবল তৈমুর আলিকে ইতিমধ্যেই ক্লোজ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সিভিক ভলেন্টিয়ার আফতাবকেও বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মারধরের কথা অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দীপঙ্করকে কিছুক্ষণের জন্য থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাকে কোনও ভাবেই মারধর করা হয়নি'।
যদিও পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ সাহা পরিবার। পুলিশের অকথ্য অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবিতে অনড় পরিবার। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ কলকাতায় গল্ফগ্রিন থানা এলাকার আজাদগড় এলাকায় । অভিযোগ, গত ৩১ জুলাই দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ দীপঙ্কর সাহা নামে এক যুবককে গল্ফ গ্রিন থানার কনস্টেবল তৈমুর আলি এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার আফতাব ডেকে নিয়ে যায়। সেই সময় দীপঙ্কর এবং দীপঙ্করের মা ডাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ওই পুলিশকর্মীরা কিছু না জানিয়ে তাঁকে নিয়ে চলে যায়। দীপঙ্করের পরিবারের অভিযোগ, দুপুর বেলা ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ থানায় না নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়েছে তাঁকে। অবশেষে সাব-ইন্সপেক্টর তামাং, তৈমুর এবং আফতাব এই তিনজন অমানুষিক মারধর করে দীপঙ্করকে, তার ফলেই মৃত্যু হয়। এমনটাই অভিযোগ।