কী ভাবে গোয়েন্দাদের জালে (Kolkata News) চিকিৎসক অধ্যাপক? গৌরহরিকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায় কার সঙ্গে ঝামেলা ছিল তাঁর? যেহেতু তাঁর নাম করে চিঠি দেওয়া হয়। গোয়েন্দারা নিশ্চিত হন এটা গৌরহরি মিশ্রর কাজ নয়। তখন গৌরের সঙ্গে কার ঝামেলা জানতে গিয়ে জানা যায় তাদের বাড়িওয়ালা এই চিকিৎসক অরিন্দমের সঙ্গে তার স্ত্রীর ঝামেলা ছিল। এর আগে গৌরহরিকেও বেনামে চিঠি পাঠিয়েছিল চিকিৎসক অধ্যাপক অরিন্দম সেন।
advertisement
এরপরই এই হুমকি চিঠির (Kolkata News) টাইপিস্ট কে সেটার খোঁজ শুরু হয়। গোয়েন্দারা পরিচয় গোপন করে শহরে একাধিক টাইপিস্টকে হুমকি চিঠি টাইপ কে করে তার খোঁজ করেন। কিন্তু বেশির ভাগ টাইপিস্ট না করে দেন। কেউ প্রাণনাশের হুমকি চিঠি টাইপ করতে রাজি হচ্ছিলন না।
শেষমেশ টাইপিস্ট বিজয় কুমার কয়াল রাজি হন। মাত্র শ-খানেক টাকা চিঠি প্রতি নিতেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তারা চেপে ধরতেই কয়াল বলে দেয় যে একটি গাড়ি নিয়ে অরিন্দম সেন ও তাঁর চালক আসতেন। ওই গাড়ির নম্বর বলে দেয় টাইপিস্ট। সিসিটিভি ক্যামেরাতেও ওই গাড়ি পাওয়া যায়। তারপর রাজা রাম মোহন রায় রোডের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন অরিন্দম সেন। এরপর সে স্বীকার করে চালক ও জড়িত গোটা পর্বে। চালককেও এরপর গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, অরিন্দমের মা রাজা বাজার সাইন্স কলেজএর ফিজিক্সের অধ্যাপক ছিলেন। বাবা চিকিৎসক ছিলেন। দুজনই মারা গিয়েছেন। অরিন্দম দু'বার বিয়ে করেন। কিন্তু তাঁর এই সমস্যা জন্য স্ত্রী চলে যান। ধৃত অরিন্দম সেন ২০১৫ সাল থেকে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসার পদে কর্মরত। ফার্মাকোলজির অধ্যাপকও তিনি। স্টুডেন্টদের এত বছর পড়াচ্ছেন। কখনও অন্য রকম আচরণ নজরে আসেনি বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর।
যদিও ওই হাসপাতালে রোগী তিনি দেখতেন না। শুধুই পড়াতেন। অরিন্দম কিষাণগঞ্জ এমজিএম মেডিক্যাল কলেজে ফার্মাকোলোজি নিয়ে এমডি করেন। তার আগে আর জি করে পড়তেন। কলকাতার নামি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। তাঁর এই কর্মকাণ্ডে হতবাক স্টুডেন্ট থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সকলেই। ব্যাংকশাল আদালতে ধৃত তিন জনকে পেশ করা হলে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অর্পিতা হাজরা