প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় একটি অ্যাপ নির্ভর বাইক ট্যাক্সিতে করে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী। উল্টোদিক থেকে আসা সিমেন্ট মাখার একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ওই বাইকটির। ঘটনাস্থলেই উল্টে যায় বাইকটি। বাইকের চালক উল্টোদিকে পড়লেও, রক্ষা পাননি ওই তরুণী। ট্রাকটির নিচে চলে যান তিনি। মাথার উপর দিয়ে চলে যায় ট্রাকটির চাকা। সাত সকালে এরকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা দেখে কিছুটা হতভম্ব হয়ে পড়েন এলাকাবাসী।
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে পৌরসভার পানীয় জল পৌঁছল শতাব্দী প্রাচীন মজিলপুরের দত্তবাড়িতে
তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বেহালা বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এলাকাবাসীই পাকড়াও করেন অভিযুক্ত ট্রাকটির চালককে। পরে বেহালা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তাদের হাতে তুলে দেন এলাকাবাসী। ঘাতক ট্রাকটির চালককে গ্রেফতার করেছে বেহালা থানার পুলিশ। বাইক ট্যাক্সিটির চালককেও আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। এস এন রায় রোডের মত সরু রাস্তাতেও ১০ চাকার গাড়ি বেলাগাম গতিতে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোয় পথচারীদের সুরক্ষার প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য বিরাট ঘোষণা নবান্নের, ডেটলাইন ১৫ জানুয়ারি
প্রসঙ্গত, মৃতা তরুনীর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডিপুর এলাকায়। মৃতার বাড়ির লোক রয়েছেন পুরুলিয়াতে। ঘটনাস্থল থেকে পরিচয় জেনে ফোন করে জানানো হয় তাদের। যদিও মৌলির পরিচিতদের দাবি, এই রাস্তায় রোজকার আনাগোনা ছিল না তাঁর। এক বন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করতে গতকাল গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি কাজে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। স্বাভাবিক ভাবেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৌলির বন্ধুদের মধ্যেও। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই ট্রাক চালক। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন মৃতার আত্মীয়রা।