বিএলআরও মিউটেশনের ক্ষেত্রে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের বিকল্প প্রস্তাব আনা হবে ক্যাবিনেটে বলেও জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
বিএলআরও মিউটেশন নিয়ে পুরসভার অধিবেশনে প্রশ্ন তোলেন বেহালার কাউন্সিলর রত্না শূর। অধিবেশনে প্রস্তাব আনেন বিভিন্ন ব্যক্তিগত সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সম্পত্তির দাবিদারদের এফিডেভিটের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। বিএলআরও মিউটেশনের ক্ষেত্রে এই জটিলতা দূর করে পদ্ধতি সহজ করা হোক।
advertisement
এই বিষয় বিকল্প প্রস্তাব আনা হবে ক্যাবিনেটে। এদিন অধিবেশনে রত্না সুর বলেন, কলকাতা কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে সরকারি দলিল, পুরসভার করের বিল থাকার পরেও বিএলআরও মিউটেশনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পুর প্রতিনিধিদের পক্ষে এই সার্টিফিকেট দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের নজরে নদিয়া, রানাঘাটে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
মেয়র ফিরহাদ হাকিম রত্না সুরের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এই অধিবেশনে বা পুরসভার আওতাধীন বিষয় নয় বিএলআরও। তবে কাজ যাতে সহজ হয় তাই জমি সংক্রান্ত অফিস আমাদের কর্পোরেশনে আনা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন প্রচার হচ্ছে নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে। যার আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে সে তো নাগরিকই। আবার কেন নতুন কার্ড? এটাও অনেকটাই তেমন!
কারো পরিবার বা তাদের সম্পত্তি সম্পর্কিত বিষয় কাউন্সিলরদের জানা সম্ভব নয়। তাদের কাছে করের বিল থাকলে আলাদা করে ডোমিসাইল সার্টিফিকেটর দরকার কেন? তার বদলে আধার কার্ডের উপর ভিত্তি করে সেলফ ডিক্লিয়ারেশন দেবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। সেটাই ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে অ্যাটেস্ট করাতে হবে। এই নিয়ম করার জন্য আমি আগামী ক্যাবিনেটে প্রস্তাব আনব বলেও জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম।