কেউ বলছেন, ‘শাবাশ! অপরাধ তো করেনি, ভালবেসেছে ওরা পরস্পরকে।” তবে গোটা শহর যে তাঁদের দেখে ‘বিস্মিত’ তাতে সন্দেহ নেই। চর্চায় এই অজ্ঞাতপরিচয় যুগল। নেট দুনিয়ায় ভাইরাল সেই মেট্রো স্টেশনের ভিডিও। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ 18 বাংলা।
এদিকে ভাইরাল সেই ভিডিওর নীচে চলছে নীতিপুলিশির আসর। পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্যের বন্যা। একাংশের দাবি, “প্রকাশ্যে এমন স্পর্ধা? এ কী দিনকাল পড়ল!” আর একদল বলছেন, “বেশ করেছে। এতে আপত্তির কী আছে?” বছর কয়েক আগে কলকাতা মেট্রোর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, যাতে লেখাছিল, স্টেশনে আলিঙ্গন করা যাবে না। চুমু খাওয়া যাবে না। হ্যান্ডশেক করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। তবে সেটা ছিল কোভিড কাল। তখন এমন নির্দেশিকা শুধু মেট্রোরেল নয়, অনেক জায়গাতেই ছিল। এখন সেই সময় গিয়েছে, তাই অনেকেই বলছেন, এতে সমস্যা কোথায়!
আরও পড়ুন- ট্যাঙ্কের ‘ঠান্ডা’ জলেই স্নান করছেন শীতে? শরীরে যা হচ্ছে…’অবাক’ করা সত্যি জানালেন চিকিৎসক!
বিজেপি নেতা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি লিখেছেন, ‘মেট্রো স্টেশনে এক যুগল একে অপরকে চুমু খেয়েছে, এতে আপত্তি করার কারণ কী? আপনারা কি কোনোদিন কাউকে ভালোবেসে চুমু খেতে চাননি? প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া যে ভারতের আইনে অপরাধ, তা তো জানা নেই। তাছাড়া, চুমু খাওয়াকে কখনোই অশ্লীল কাজ হিসেবে গণ্য করা যায় না। চুমু বা আলিঙ্গন ভালোবাসা প্রকাশের এক স্বাভাবিক এবং আইনসিদ্ধ মাধ্যম, যা মানুষের অনুভূতি এবং স্নেহ দেখানোর স্বাধীনতাকে প্রকাশ করে।’
বিষয়টি নিয়ে আপাতত মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য না করা হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তরজা। ভিডিয়োটি কবে তোলা হয়েছে, তা স্পষ্ট না হলেও পুরো বিষয়টি নিয়ে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে নেটপাড়া। নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেছেন যে প্রকাশ্যে চুমু খেয়ে ঠিক কাজ করেননি যুগল। নেটিজেনদের অপর অংশ অবশ্য তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের দাবি, ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ুক।