তিলোত্তমার গতি বাড়াতে জোর কদমে চলছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ। নতুন মেট্রো লাইন চালু হলে বদলে যাবে শহরের গতি। বাড়বে মেট্রোর আয়ও। কিন্তু, লাভের গুড়ে চুরির থাবায় বেসামাল কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রতিমাসেই চুরি হয়ে যাচ্ছে কয়েয় লক্ষ টাকার টোকেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী দিনে একটি ট্রেনে গড়ে ৩টি টোকেন চুরি হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০টি মেট্রো ট্রেন চলাচল। খোয়া যাচ্ছে প্রায় ৯০০টি টোকেন। ১টি টোকেনের দাম ২০ টাকা। মাসের প্রায় ২২ হাজার টোকেন চুরি হচ্ছে। মাসে কলকাতা মেট্রোর ক্ষতি ৪-৫ লক্ষ টাকা।
advertisement
- দিনে একটি ট্রেনে গড়ে ৩টি টোকেন চুরি হচ্ছে
- প্রতিদিন গড়ে ৩০০টি মেট্রো ট্রেন চলাচল
- দিনে প্রায় ৯০০টি টোকেন চুরি
- ১টি টোকেনের দাম ২০ টাকা
- মাসের ২০-২২ হাজার টোকেন চুরি হচ্ছে
- মাসে ৪-৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি
কিন্তু কোন পথে চুরি হয়ে যাচ্ছে এই টোকেন। নজরদারিতে উঠে এসেছে.
- টিকিট কাটার পর মনে হল যাবেন না। পকেটেই থেকে গেল টোকেন।
- গেটে একটা টোকেন ঠেকিয়ে বেড়িয়ে গেলেন কয়েকজন, বাকি টোকেন পেল না মেশিন
- বাচ্চার জন্য টিকিট কাটা হল, অথচ বাচ্চাকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে গেলেন অভিভাবক
ক্ষতি কমাতে আরও নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট্রো। এবছর দুর্গা পুজোর মাসে প্রায় ৩০ হাজার টোকেন খোয়া গিয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে যতবেশি লোক যাতায়াত করে, তাতে গেটের রিমোট সেনসিং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্গাপুজোয় যেমন ক্ষতির বহর বেড়েছে, বড়দিন ও নতুত বছরে সেই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে। আশঙ্কায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের। তাই চুরি ঠেকাতে সচেতন জনতাই ভরসা মেট্রোর।