সেই সময় মেট্রোর কাজের জেরে বউবাজার জুড়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হলেও কাজ থামায়নি মেট্রো ৷ সমাধান খুঁজে বার করতে বউবাজারেই দূর্গা পিতুরী লেনে তৈরি করা হয় বিশালাকার চৌবাচ্চা বা শ্যাফট। যেখান দিয়েই শুরু হয় বউবাজারে কাজ শেষ করার চ্যালেঞ্জ ৷ সেই কাজ করতে গিয়েও বারবার বাধা এসেছে ৷ কখনও সুড়ঙ্গর মধ্যে জল ঢুকে গিয়েছে৷ কখনও আবার মাটির উপরে নানা বাড়িতে নতুন করে ফাটল ধরেছে।
advertisement
অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে শেষ হল বউবাজারে মাটির নীচে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সব কাজ ৷ট্রামলাইন ধরে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট বরাবর লালবাজার মুখী রাস্তায় গেলেই চোখে পড়বে বাঁ-দিকে মেট্রোর সেই শ্যাফট এরিয়া। দূর্গা পিতুরী লেন আর স্যাকরা পাড়া লেনের এই অংশ দিয়ে একের পর এক মেশিন বার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। ৬ মিটার লম্বা আর ৯ মিটার চওড়া যে বিশালাকার শ্যাফট বানানো হয়েছিল তা বোজানোর কাজ শেষ। পাশেই হয়েছে এমারজেন্সি এক্সিট। এখানেই একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। আগামী দিনে এখানেই একের পর এক বাড়ি তৈরি করবে KMRCL, তার জন্য হয়েছে সয়েল টেস্টের কাজ।
বউবাজার অংশের সুড়ঙ্গকে আরও শক্তিশালী করতে ৬০ মিটার অংশে স্টিল রিং কভার দেওয়া হয়েছে। লাইন দিয়ে আপাতত রোজ পরীক্ষামূলক ভাবে ছুটছে মেট্রো। এই অংশে যে লাইন পাতা হয়েছে, সেখানে ভ্যানগার্ড প্যান্ড্রোল সিস্টেম বসানো হয়েছে। এর ফলে আগামী দিনে স্বাভাবিক গতিতে যখন মেট্রো চলবে তার ফলে যে কম্পন অনুভূত হবে, তা বাইরে আসবে না। মাটির উপরে সেই কম্পন বোঝা যাবে না।তবে বউবাজার অংশে ২৬০ মিটার এলাকা জুড়ে জিও ফিজিক্যাল স্টাডি করা হয়েছে। এর ফলে আগামীদিনে বাড়ি তৈরি করতে গেলে কী অবস্থা সেখানের বা পাশ্ববর্তী এলাকার ভূ-চরিত্র কোনও বদল এসেছে কিনা তা জানা গেছে। বিশেষজ্ঞ সংস্থা সেই মোতাবেক কাজ শুরু করে দিয়েছে৷