জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫ নাগাদ এক ব্যক্তি পার্কস্ট্রিট স্টেশন থেকে টানেলে ঢোকেন। ট্র্যাক ধরে এগিয়ে যান। ১১ টা ৫ নাগাদ পার্কস্ট্রিটমুখী মেট্রো চালক ট্র্যাকের পাশে কিছু পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে পার্কস্ট্রিট স্টেশনে খবর দেন। দেহ উদ্ধার করে আরপিএফ। ওই ব্যক্তি মেট্রো ট্র্যাক এবং থার্ড লাইনের মাঝে পড়েছিলেন৷ ডান হাত ছিল থার্ড লাইনে। কবজির কাছে পোড়া। এভাবে টানেল থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় মেট্রোর নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
advertisement
একজন কীভাবে টানেলে ঢুকে পড়লেন? সিসি ক্যামেরায় নজরদারি কোথায়? প্ল্যাটফর্মে থাকা আরপিএফদের নজরে কেন পড়ল না? কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয় কুমার রেড্ডি জাানিয়েছেন, সাধারণ মানুষকে বারবার সচেতন করা হয়, কোন অংশ প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার করা যাবে, কোন অংশ নেয়। টানেলে সাধারণ যাত্রীর যাওয়ার কথাই নয়। সেখানে বোর্ড অবধি ঝোলানো আছে। এরপরেও তা উপেক্ষা করে একজন কিভাবে পৌঁছে গেলেন সেটা বড় অদ্ভুত। আমরা বিষয়টিকে সহজ ভাবে নিচ্ছি না। আইজি সিকিওরিটি তদন্ত করবেন। কোথায় ফাঁক ফোকর রয়েছে তা খুঁজে অবশ্যই বার করা হবে।
প্রাক্তন রেল আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য বলছেন, এটা একটা চূড়ান্ত গাফিলতি। মেট্রো রেল ওপেন সেকশন নয়।কীভাবে মেট্রোর টানেলে ঢুকলেন ব্যক্তি? আরপিএফ-সিসি ক্যামেরায় নজরদারি কোথায়? সিসি ক্যামেরার লাইভ ফিড দেখা যায় সিকিউরিটি কন্ট্রোলে। এতজন মানুষের নজর এড়িয়ে কিভাবে একজন গেলেন টানেলে? মেট্রো রেল ভবঘুরেদের জায়গা নিশ্চিত নয়।