ছবিটা কিছুটা বদলালেও শুক্রবারও কলকাতার হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীদের হয়রানির সেই ছবি। শপিং মলে স্তন্যপান করাতে বাধা। তা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর হইচই। কিন্তু ভোগান্তির শিকার মাকে স্তন্যদান করতে হল হাসপাতালের সামনের ফুটপাথে বসেই। মেডিক্যাল কলেজগুলির সামনে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের উদ্বিগ্ন প্রতীক্ষা শুক্রবারও। চবে ছবিটা কিছুটা বদলেছে শুক্রবার। কারণ শুক্রবার এনআরএসের পাশাপাশি এমারজেন্সির তালা খুলল কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের অভাবে পুরোপুরি সচল হল না মেডিক্যাল কলেজগুলির এমারজেন্সি।
advertisement
এনআরএস
আউটডোর বন্ধ থাকলেও এমারজেন্সির তালা খুলে দেওয়া হয় শুক্রবার।
কিন্তু এমারজেন্সিতে কাজ করছেন শুধু সিনিয়র চিকিৎসকরা। ফলে ডাক্তারের অভাবে ফিরে যেতে হল অনেক রোগীকে। (রোগী ফিরে যাওয়ার ছবি)
আউটডোর বন্ধ থাকায় হাসপাতালের সামনে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের অন্তহীন প্রতীক্ষাও চলল।
চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল
চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। শুক্রবার সকাল থেকে এমারজেন্সি খুলে দেওয়া হলেও বন্ধ থাকল আউটডোর।
আর জি কর
আউটডোর বন্ধ থাকলেও শুক্রবার বেশ কিছুটা সচল আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। কিন্তু সেখানেও সেই একই ছবি। হাসপাতালের সামনে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা, চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাওয়া।
এসএসকেএম
বৃহস্পতিবারই খুলেছে এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। তবে শুক্রবারও বন্ধ থাকল হাসপাতালের আউটডোর। ছবিটা সেখানেও একই।
কলকাতা মেডিক্যাল
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমারজেন্সিতেও ছবিটা প্রায় এক। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি থাকায় চিকিৎসকের অভাব। তালা খোলা থাকলেও পরিষেবা পেতে সমস্যায় রোগীরা। বন্ধ আউটডোর।কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এখনও কাটেনি জটিলতা। তবে এমারজেন্সি খোলায় খানিকটা স্বস্তি রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের।