কোভিড পরিস্থিতিতে অভিনব রথযাত্রা কলকাতা ইসকনের। কলকাতা পুলিশের পাইলট কার করবে এসকর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর ভোগ নিবেদন এবং আরতির পর শুরু হবে এই অভিনব রথযাত্রা। সোমবার বেলা বারোটার পর অ্যালবার্ট রোড থেকে গুরুসদয় রোড অবধি পনেরোটি গাড়ির কনভয়ে হবে ২০২১ এর কলকাতা ইসকনের স্বর্ণজয়ন্তী রথযাত্রা।
কোভিড অতিমারিতে ভার্চুয়ালি রথযাত্রা দেখার পরামর্শ কলকাতা ইসকন কর্তৃপক্ষের। দেখা যাবে কলকাতা ইসকনের ইউটিউব ও ফেসবুক পেজ এবং বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে।
advertisement
প্রতিবছর নিজে হাতে রশি টেনে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার ইসকন রথ যাত্রার উদ্বোধন করেন । বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনিও ভার্চুয়ালি দেখবেন ইসকনের রথযাত্রা। সোমবার সোজা রথের দিন মাসির বাড়ি পৌঁছাবেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। করোনা বিধি মেনে মাসির বাড়িতে বিকেল চারটে থেকে আটটা পর্যন্ত করা যাবে দেবদর্শন। তবে দর্শনার্থীদের সংখ্যা খুবই সীমিত রাখা হবে। ২০ জুলাই মঙ্গলবার মাসির বাড়ি থেকে ফের অ্যালবার্ট রোডের ইসকন মন্দিরে ফিরে আসবেন জগন্নাথ দেব। সেই একইভাবে কলকাতা পুলিশের এসকর্টে ১৫ টি গাড়ির কনভয়ে।
এবছর কলকাতা ইসকন মন্দিরের রথ যাত্রার ৫০ বছর পূর্তি অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ। কলকাতা ইসকন মন্দিরের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস জানান, ‘‘ গত সাত বছর ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের। রেড রোডে যেভাবে দুর্গাপুজো কার্নিভাল করা হয়, ঠিক সেই ভাবেই তিন কিলোমিটার পথ জুড়ে রথযাত্রা উৎসবের শোভাযাত্রা করার পরিকল্পনা ছিল। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের বাস্তব পরিস্থিতি এবং তৃতীয় তরঙ্গের আশঙ্কা সব পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল।’’
কী ছিল ইসকন কর্তৃপক্ষের সেই পরিকল্পনায়! আমেরিকা থেকে ফ্লায়িং হনুমান আনার পরিকল্পনা ছিল। এই হনুমান বেলুনটি তিন কিলোমিটার পথ জুড়ে রথের সামনে রাখা হত সাধারণ মানুষের আকর্ষণ হিসেবে। বিশ্বের ১৫০টি দেশ থেকে বারোশো ভক্ত আসতেন। নিজেদের ভাষায় কীর্তন করতেন। আয়োজন করা হয়েছিল শোভাযাত্রা জুড়ে নানা সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীরও। রেড রোডে যেভাবে রাস্তার ধারে বসে দুর্গাপুজার শোভাযাত্রা দেখেন অগণিত ভক্ত, ঠিক সে ভাবে রথযাত্রা উৎসবের কার্নিভাল দেখত এ বার কলকাতা।
আপাতত সেই পরিকল্পনা বাতিল করে অভিনব রথযাত্রার আয়োজন ইসকন কর্তৃপক্ষের। রথযাত্রা হলেও রথের রশি টানবেন না কোনও ভক্ত।