আজ বৃহস্পতিবার দিঘা থেকে কলকাতায় ফিরে সোজা মেছুয়া গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন, কথা বলেন সিপি মনোজ ভার্মার সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কিছু কিছু বাড়ি দেখছি ছাদ ভেঙে পড়ছে। পুলিশ, কর্পোরেশনকে বলব বৈঠক করে নিজেরা মেরামতির ব্যবস্থা করতে। ডিসপিউট আছে বলে বাড়ি সংস্কার হবে না, তা হবে না। বলছি না আপনাদের ছেড়ে দিতে হবে৷ জমি নিয়ে, বাড়ি নিয়ে, ভাড়াটিয়া সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে কলকাতা পুলিশ ও কর্পোরেশনকে বলুন, কারণ এটা জীবনের ব্যাপার৷”
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “শপিং মল, দোকানে প্লাস্টিকের কোনও জিনিস রাখা যাবে না, রাসায়নিক পদার্থ রাখা যাবে না, চেক হবে। ১৫ দিনের মধ্যে পুরনো বাড়ি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা এই জায়গায় ফায়ার ব্রিগেড স্টেশন বানিয়ে দিয়েছি৷ এই ধরণের বেআইনি হোটেলে পুলিশকে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে বলব। কলকাতা পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেডের সঙ্গে কমিটি গঠন করে ভেঙে যাওয়া বাড়ি পুর্নগঠন করা হবে। ফায়ার সিস্টেমের ব্যবস্থা করতে হবে। আগে বাইরে বেরনোর জায়গা ছিল না, সেফটির কথা ভাবা হয়নি।”
মমতা বলেন, “প্রত্যেককে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে, ফ্লাইটের টিকিট দিয়ে ব্যবস্থা করেছি। গেস্টের সেফটি দেওয়া হোটেল মালিকের কর্তব্য। হোটেলের মালিক, ম্যানেজার অ্যারেস্ট হয়েছে। জোড়াসাঁকোয় অনেক জায়গা আছে, অনেক ব্লিডিং ও হোটেল রয়েছে, সেগুলো পুলিশকে তদন্ত করতে বলব। আমরা ছাড়ব না, তদন্ত হবে। অনেক এমন হোটেল, বাড়ি রয়েছে। সকলকে সহযোগীতা করতে হবে। ভাড়াটিয়াদের উদ্দেশ্য মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “আমাকে ভোট না দেবেন তো দেবেন না। কিন্তু জীবন বাঁচান।”