অন্যদিকে, বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে মৃতদের প্রতি সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে মৃতদের ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেন।
advertisement
প্রসঙ্গত, মেছুয়ার হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৮, তাঁদের মধ্যে তামিলনাড়ির দুই শিশু রয়েছে। তাঁদের মধ্যে আরজিকরে পাঁচজন, এনআরএসে পাঁচজন এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চারজনের দেহ রাখা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ওড়িশা কটক মরকত নগর সেক্টর ৬-এর বাসিন্দা রাজেশ কুমার সান্তুকা (৬১), বিহারের ভাগলপুর পুলিশ কলোনির নীরজ কুমার (২০)। ৩৫ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এবং ৪৫ বছরের দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। বিহারের রামনগরের বাসিন্দা দীপেন্দ্র রাম (৪৬)। তামিলনাড়ুর দুই শিশু ১০ বছরের পি দিয়া এবং ৩ বছর ৮ মাসের পি রাউত। ১৩ বছরের প্রণয় পাঠক, ২২ বছরের আরাধ্যা আগরওয়াল এবং ৪০ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি, ৬১ বছরের এস মুথু কৃষ্ণন, ৪৫ এবং ৫০ বছরের দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারের এই হোটেলে মোট ৪২ ঘরে ৮৮ জন আবাসিক ছিলেন মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময়, সঙ্গে ছিলেন হোটেলে কর্তব্যরত ৬০ কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ২ শিশু এবং এক মহিলা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ১৩ জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে আগুন লাগার পর ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে এক হোটেলকর্মীর মৃত্যু হয়৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘরের ভিতরে তল্লাশিতে ঢোকেন দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা৷ তখনই বিভিন্ন ঘর থেকে আরও ১৩টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়৷। এদিন হোটেল থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ তাঁদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন হোটেলের ছাদে৷ সাত জনকে হোটেলের বিভিন্ন ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়৷