রোগীর পরিবারের চিন্তা ছিল এই জটিল অস্ত্রোপচারের খরচ কীভাবে সামলাবে তাঁরা। হাসপাতালের তরফে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া হেলথকেয়ার ফাউন্ডেশন থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে রোগীর যাবতীয় খরচ মকুব করে দেওয়া হয়। রোগী এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ান হাসপাতালের চিকিৎসক সমেত অন্যান্য কর্মীরাও। জটিল এই অস্ত্রোপচারে পাঁচটি আঙুলের আকৃতির দিকটি মাথায় রাখতে হয়েছিল চিকিৎসকদের। প্রত্যেকটি আঙুলের হাড় ঠিক করতে স্টিলের তার ব্যবহার করা হয়। জটিল এই অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে অতিরিক্ত খেয়াল রাখতে হয়েছিল যাতে কোনওভাবে রক্ত সঞ্চালন না বন্ধ হয়। অস্ত্রোপচারের পর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় এবং ফলাফল ঠিকঠাক হওয়ায় আট দিন পর রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
advertisement
ডঃ অখিলেশ কুমার আগরওয়াল জানান, “আঙুল রিইমপ্ল্যান্ট করা একান্ত আবশ্যক ছিল। আরও কিছু কারেকটিভ অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন রয়েছে পুরো সেরে ওঠার জন্য। ওঁর প্রত্যেকটা আঙুল পুরোপুরি কাজ করতে পারবে এবং নিজের সমস্ত কাজ করতে পারবেন স্বাভাবিক ভাবে। তবে বলাই বাহুল্য, সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এরকম ঘটনা চোখে পড়েনি আমার”। ধীরে ধীরে রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে সব কাজ করতে পারবেন রোগী। আগামী দিনেও এই ধরনের কাজ করার বার্তা দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
