বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার বা নিবন্ধকের কাছে ও কলেজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজে কর্তৃপক্ষের কাছে রুমের চাবি থাকবে। ইউনিয়ন রুমে ঢোকার কোনও প্রয়োজন থাকলে তা লিখিত আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একমাত্র তাদের অর্থাৎ কর্তৃপক্ষের অনুমতির পরেই রুম খোলা হবে। ওই নির্দেশ পড়ুয়াদের কমন রুমের জন্য প্রযোজ্য বা বলবৎ হবে না। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর রাজ্যের বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন রুম বন্ধ রেখেছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ৩ মাস আগে থেকেই ইউনিয়ন রুম বন্ধ রেখেছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অ্যাডভাইজারি জারি করার প্রক্রিয়াও শুরু হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় না।যা নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বেচারা শতাব্দী এক্সপ্রেস! হারাচ্ছে AC কোচ…পিছনে কারণ বন্দে ভারত, জানেন কেন?
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুন সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ইউনিয়ন রুম ও গার্ড রুমে প্রথমবর্ষের এক ছাত্রীকে গণণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ওই কলেজের দুজন পড়ুয়া ও এক প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে। ছাত্র সংসদ না থাকায় ইউনিয়ন রুমগুলি খোলা থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও হয়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ দেওয়ার পর অবশেষে উচ্চশিক্ষা দফতর সেই নির্দেশিকা কার্যকর করল।
তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন একটি এসওপি জারি করা হবে। যদিও সেই এসওপি কাজ কবে থেকে জারি করা হবে রাজ্যের কলেজগুলির জন্য সেই বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। তবে নির্দেশিকা জারি করার আগেই বেশ কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়ন রুম বন্ধ রেখেছিল বলেই জানাচ্ছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ।