স্থানীয় লোকজনের বাধায় শেষ করা যাচ্ছে না জাতীয় সড়কের বিভিন্ন অংশের কাজ। আদালতে জমা দেওয়া আদালতবান্ধব আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ীর রিপোর্ট বলছে, সরকারি জমি জবরদখলকারীদের বাধায় আটকে যাচ্ছে কাজ। আদালতে আদালতবান্ধব আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী জানান, জেলা শাসকের সঙ্গে বৈঠকে দেখা যাচ্ছে সড়কের কাজের জন্য যাঁদের থেকে জমি নেওয়া হয়েছে, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সত্ত্বেও কাজ করতে পারছেন না কনট্রাক্টররা। স্থানীয় লোকজন আন্দোলন করছে। উত্তর ২৪ পরগানার আমডাঙা-সহ বিভিন্ন জায়গায় সমস্যা করছেন স্থানীয়রা। এখনও পর্যন্ত যাঁদের থেকেজমি নেওয়া হয়েছিল, তাঁদের সর্বমোট প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও জবরদখলকারীরা কাজ করতে দিচ্ছে না। সরকারি জমিতে এনএইচএআই কতৃপক্ষ কাজ করতে পারছে না স্থানীয়দের অসহযোগীতায়।
advertisement
রাজ্যের আইনজীবী শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রায় ৯৫% লোককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এই বিষয়ে কতৃপক্ষের বৈঠক হয়েছে। আদালত নির্দেশ দিলে পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিততে কাজ শুরু করা যাবে বলে জানান আইনজীবী।
এরপরই, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাষ পট্রনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন,বারাসতের যে অংশে কাজ করতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে ঠিকাদাররা, সেখানে জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করবে। জেলা প্রশাসনে পর্যাপ্ত পুলিশ না থাকলে জেলার রিজার্ভ ফোর্সের সহযোগিতা মিলবে। জেলায় উপস্থিত আধা সামরিক বাহিনী থাকলে রাজ্য প্রশাসন প্রয়োজন মতো তাদের কাজে লাগাতে পারে।
আদালতের নির্দেশ, ১ মার্চ কাজ শুরু করতে হবে। উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়া মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসককেও এই ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কতৃপক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। আদালতবান্ধব যাতে দ্রুত কাজ শেষ হয় তারজন্য উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ি ও আপিপুরদুয়ারে বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে এনএইচএআই কতৃপক্ষ, ঠিকাদার, জেলা শাসক ও জেলার পুলিশ সুপার বা কমিশনারদের উপস্থিত থাকতে হবে। আদালতের নির্দেশ কার্যকরী হল কি না, সেই বিষয়ে একটি রিপোর্ট আগামী ২৭ মার্চ আদালতে জমা করতে হবে।