TRENDING:

Kolkata High court: বাবা-ছেলের কীর্তি! নিয়োগ-নথি নকল করে চাকরির তদন্তে CID-তেই আস্থা হাইকোর্টের

Last Updated:

সিআইডির আইনজীবী জানান, তদন্তে ১০ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সেই সময়কার স্কুল পরিদর্শককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অনিমেষ তিওয়ারি ও আশিস তিওয়ারির হাতের লেখা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: ভুয়ো শিক্ষকের নিয়োগপত্র জালিয়াতি কাণ্ডের তদন্তে CID-র উপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ।
advertisement

বাবা আশিস তিওয়ারি মুর্শিদাবাদের সুতি থানার গোথা এ আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক। নকল নিয়োগপত্র নিয়ে সেই স্কুলেই এতদিন শিক্ষকের চাকরি করছিলেন তাঁর ছেলে অনিমেষ। সম্প্রতি সামনে আসে এই কথা।

এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে সওয়াল করেন ঘটনার মামলাকারী সোমা রায়ের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আদালতে তিনি বলেন, "এই ঘটনার দায় থেকে অর্থ দফতর হাত তুলে নিতে পারে না। একই নিয়োগপত্রে ২ চাকরি কীভাবে সম্ভব! কেন তা খতিয়ে দেখা হয়নি?"

advertisement

আরও পড়ুন: 'আপনার আশীর্বাদ না থাকলে আমাদের সুবিধা', বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে জানান, গোথা এ  আর হাইস্কুলের নকল করে চাকরির ঘটনা নিয়োগ দুর্নীতির অংশ। সিবিআই ইতিমধ্যেই তা নিয়ে তদন্ত করছে। এখন সিআইডি তদন্ত চালিয়ে গেলে সমস্যা হবে। যদিও আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, এই নিয়োগ নকলের ঘটনা একেবারে আলাদা প্রেক্ষাপট। এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবে সিআইডি।

advertisement

এরপরেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বাসু জানতে চান, সিআইডি কাউকে গ্রেফতার করেছে? সিআইডির আইনজীবী তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে জানান, তদন্তে এখনও পর্যন্ত ১০ জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। সেই সময় স্কুলের যিনি পরিদর্শক ছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অনিমেষ তিওয়ারি ও আশিস তিওয়ারির হাতের লেখা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্যে। সেই সময় যিনি ডিআই ছিলেন তাঁর সই-ও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট আসবে। সূতি থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির  ৪৬৮, ৪৭১, ৪০৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ডি-আই দফতর থেকেও নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

advertisement

আরও পডুন: মুখ্যমন্ত্রী তো দিয়েছেন, কিন্তু তিনি নেবেন কি? Z প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে মহা ফাঁপরে অমর্ত্য সেন

এরপরে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্যের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেন, "আপনারা কি মনে করছেন না, এই ঘটনায় হেফাজতে নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন? হেড মাস্টার স্কুলে কেন যাচ্ছেন? যত কম যাবেন ছাত্রদের মঙ্গল। এরা ছাত্রদের জন্য ভয়ঙ্কর। তদন্ত এমনভাবে করুন যাতে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনে কোনও অসুবিধা না হয়। প্রয়োজনে বিকেল ৪ টের পর বিদ্যালয়ে যান তদন্ত করতে।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আলোর উৎসবে শক্তির আরাধনা! দীপান্বিতা অমাবস্যায় জগন্নাথ-বড়মা মিলেমিশে একাকার
আরও দেখুন

মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকার গোথা এ আর হাইস্কুলে ভুয়ো নথি চাকরি মামলা। বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। বাবা আশিস তিওয়ারি, প্রধান শিক্ষক ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি, অভিযুক্ত ভুয়ো শিক্ষক।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata High court: বাবা-ছেলের কীর্তি! নিয়োগ-নথি নকল করে চাকরির তদন্তে CID-তেই আস্থা হাইকোর্টের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল