টেট দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক নথি পেয়েছিল ইডি৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতির মামলা চলাকালীন ইডি আদালতকে জানিয়েছিল, গত ২০ এবং ২১ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য জানতে পেরেছেন আধিকারিকেরা৷ অয়ন শীলের বাড়ি ও অফিস থেকে পুর নিয়োগ সংক্রান্ত বহু নথিপত্রও তাঁদের হাতে এসেছে৷
advertisement
ইডি-র দাবি ছিল, শুধু মাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, বেআইনি পথে বিভিন্ন পুরসভাতেও নিয়োগ করেছিল অয়ন শীলেরা৷ পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে সিবিআই নিয়োগ করার আর্জি জানানো হয়েছিল ইডির তরফে৷ এরপরেই পুর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল, সিবিআই চাইলে FIR দায়ের করে তদন্ত করতে পারে।
সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের সেই নির্দেশের উপরে সাত দিনের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে এবং মামলা ফিরিয়ে দেওয়া হয় হাইকোর্টে৷ তার মধ্যেই বিচারপতির বেঞ্চ বদলের আরেক নির্দেশ৷
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরতেই তৎপর হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যকে৷ পুর দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত বন্ধের আর্জি জানিয়ে নতুন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল পুর দফতর। তাদের যুক্তি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির বিচার প্রক্রিয়া চলছিল। পুর নিয়োগ নিয়ে তদন্তে তিনি কোনও নির্দেশ আদৌ দিতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এদিন ছিল রাজ্যের সেই আবেদনের শুনানি৷ সেখানেই সিবিআই তদন্ত বহাল রাখাল নির্দেশ৷