বকেয়া মহার্ঘ ভাতা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের স্কেলে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে ডাকা সরকারি কর্মচারীদের ‘বনধে’ শামিল হয়েছিলেন শিক্ষক। সূত্রের খবর, সেই শিক্ষককে শোকজ করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। তারপরেই নাকি তাঁকে পাঠানো হয় বদলির নোটিস।
advertisement
ডোমজুড়ের মহিষনালা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অমিত কুমার ঘোষকে বদলি করা হয় আমতার পশ্চিম নওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অমিতবাবুর দাবি, গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে বনধে শামিল হন তিনি। এর পর ১৪ এপ্রিল তাঁকে শোকজ করা হয়। ২৫ এপ্রিল তাঁকে প্রশাসনিক কারণে এবং জেলার শিক্ষার উন্নতির জন্য বদলি করা হচ্ছে, এই মর্মে নোটিস পাঠানো হয়।
তারপরেই প্রশাসনের সেই নির্দেশের বিরোধিতায় আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে ছিল সেই মামলার শুনানি৷
মামলার শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘‘কর্মজীবনে ছেদ পড়বে এই বিজ্ঞপ্তি কী করে দেয় রাজ্য? কোন আইনের বলে এই বিজ্ঞপ্তি? শোকজ নোটিস আর বদলির নোটিস একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত৷ মহার্ঘ ভাতা দিয়ে দিন না, তাহলেই তো আর ঝামেলা হয় না।’’
সবশুনে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বদলির নোটিসের উপরে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়।