গত ১৩ জুনই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য রাজ্যের একাধিক জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ সে দিন পঞ্চায়েত মামলার রায় দিতে গিয়ে এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ কিন্তু, অভিযোগ, সেই রায়ের পরে কোনও পদক্ষেপ করেনি নির্বাচন কমিশন৷
এদিন আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী জানান, ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে আদালত দ্রুত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেও তাতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি না জানানোয় মনোনয়ম পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মেলেনি৷ গত বুধবারই এ নিয়ে বৈঠক হয় কমিশন সঙ্গে। সেখানেও কোনও পদক্ষেপের কথা জানায়নি কমিশন। সেই কারণে এদিন আদালতের নির্দেশের মডিফিকেশন চান শুভেন্দুর আইনজীবী৷
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় চমক! এক মঞ্চে মমতা-অভিষেক, কাকদ্বীপ থেকে এবার কী বার্তা?
এই প্রেক্ষিতেই এদিন কমিশনের কড়া কথা বলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷ প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন সময় নষ্ট করছে। কেন কমিশন ফ্রাস্টেশন ছড়াচ্ছ। আগে হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার পরেও কমিশন পদক্ষেপ নিয়ে ঢিলেঢালা মনোভাব দেখায়৷’
অন্যদিকে, এদিনই পঞ্চায়েত রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন জানায় রাজ্য৷ রায়ে রাজ্যের ৭ জেলাকে স্পর্শকাতর বলা হলেও ঠিক কোন কোন জেলা স্পর্শকাতর তা নিয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই বলে জানায় রাজ্য৷ কমিশনের আইনজীবীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘স্পর্শকাতর এলাকার প্রশ্নে এখনও নির্দিষ্ট ভাবে মূল্যায়ণ করেনি কমিশন। তাই কমিশন এই তথ্য আদালত কে জানাচ্ছি৷’’
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি শেষ! এবার ‘টার্গেট’ সিলেবাস, ক্ষতি সামাল দিতে কি বাতিল হচ্ছে শনিবারের ছুটি?
কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশ্নেও আদালতকে নতুন তথ্য জানায় রাজ্য৷ রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, অতিরিক্ত বাহিনীর জন্য ৮টি রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ সেক্ষেত্রে, এই অবস্থায় রাজ্যের হাতে বাহিনি পর্যাপ্ত থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই দাবি করা হয় রাজ্যের তরফে৷
রাজ্যের আবেদনের শুনানি আগামিকাল, অর্থাৎ, শুক্রবার হবে বলে জানা গিয়েছে৷