CID কাছে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চাওয়া হয়। ৭ এপ্রিল রিপোর্ট পেশের নির্দেশ।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে বলেন,”অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনদের তলবে অরূচি কেন?” তাঁর কথায়, ” আপনারা(পুলিশ) নোটিশ দিয়ে ডাকবেন কিনা, সেটা আপনাদের ব্যাপার। ওরা কোনও ভিআইপি কি? আপনারা পদক্ষেপ না করলে আদালত পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবে।”
advertisement
অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, ” এফআইআর এ নাম থাকলেই তাঁকে অভিযুক্ত বলা যুক্তিসঙ্গত নয়। এক্ষেত্রে নোটিশ দেওয়ার আগে বিবেচ্য হবে অভিযুক্ত নাকি সন্দেহভাজন।” আদালতে আদালত বান্ধব কৌশিক গুপ্ত বলেন, ” কারও নাম এফআইআর এ থাকলে তাঁকে ফৌজদারি কার্যবিধিতে নোটিশ দেওয়া স্বাভাবিক। পরবর্তীতে তার ভিত্তিতে পদক্ষেপ হয়।”
আবেদনকারীর আইনজীবীর সওয়ালে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান ” ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল এফআইআর দায়ের হয়। তারপর রাজ্যের কার্যকরী কোনও পদক্ষেপ নেই। যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি।”
প্রসঙ্গত, জিটিএ নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু। কিন্তু সেই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তুষ্ট আদালত। তাই আদালত বান্ধব নিয়োগ করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের অভিযোগের ভিত্তিতে জিটিএ মামলায় বিধাননগর উত্তর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেখানে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জিটিএ নেতা বিনয় তামাং,এবং তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের নেতা তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকের। সিবিআইকে ওই অভিযোগ অনুসন্ধান করে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বসুর সিঙ্গল বেঞ্চ। কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল।