কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়রের বাড়ির ঘর দখল করার অভিযোগ এবার শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা কলকাতার ভবানীপুরের জগুবাবুর বাজারের কাছে। ভবানীপুর থানার দেবেন্দ্র ঘোষ রোড ঠিকানায় কলকাতার এক প্রাক্তন মেয়র গোবিন্দ চন্দ্র দে-র বাড়ি। ১৯৬৭, ১৯৬৮-- দু-দু’বার কলকাতা পুরসভার মেয়র ছিলেন তিনি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করে জিতেছিলেন গোবিন্দ চন্দ্র দে।
advertisement
প্রাক্তন মেয়রের ছেলে সুজয় দে-র অভিযোগ, বাড়ির একটি ঘর বেশ কিছুদিন ধরেই দখল করে নেওয়া হয়। যিনি দখল করে আছেন, তাকে মদত দিচ্ছেন তৃণমূলের এক নেতা ঝন্টু দে বলেই দাবি সুজয় বাবুর।
আরও পড়ুন- অভিনব উপায় এটিএমে প্রতারণা, শিলিগুড়িতে দুই থানা ও এসওজির বিশেষ অভিযানে ধৃত ৮ দুষ্কৃতি
কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র গোবিন্দবাবুর ছেলের অভিযোগ, ভবানীপুরের বাড়িতে আগে যিনি ভাড়াটিয়া ছিলেন তিনি মারা যান। তার পর বেশ কিছু সময় ঘরগুলো তালা বন্ধ অবস্থায় রেখেছিলেন সুজয়বাবু।
সুজয়বাবুর আরও অভিযোগ কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ ঝন্টু দে একটি পরিবারকে জোর ঘরে ঢুকিয়ে দেয়। এর পর সুজয়বাবু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভবানীপুর থানায় লিখিত অভিযোগে করেন। অভিযোগ, পিছনে শাসকদলের নেতারা থাকায় স্থানীয় থানা বিষয়টি নিয়ে কোনও পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি।
প্রাক্তন মেয়র পুত্র সুজয় দে বলেন, ‘‘থানায় জানিয়েছি। আদালতের থেকে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশিকা এনেছি। পুলিশ যখন যাচ্ছে, তখন তালা লাগিয়ে রাখছে। পরে পুলিশ চলে গেলে খুলে ফেলছে।’’
ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারের কাছে জানিয়েও চিঠি দিয়েছেন তিনি। সুজয়বাবুর আক্ষেপ, ‘‘বাবা এক সময় দু’বারের মেয়র ছিলেন এই শহরের। আর তাঁর বাড়ির ঘরই কী না দখল হয়ে যাচ্ছে, এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।’’
স্থানীয় থানা থেকে ডেপুটি কমিশনার, অভিযোগ জানিয়েও এখনও দখল মুক্ত হয়নি। প্রয়োজনে আইন মাফিক যা করনীয় তাই করবেন বলেই জানান সুজয়বাবু।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, শাসক দলের সেই নেতা ঝন্টু দে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন । তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই বাড়িতে আমি পা পর্যন্ত রাখিনি। আমিও শুনেছি ওখানে যে ভাড়াটিয়া থাকতেন তিনি নাকি আরও একজন কাউকে বসিয়েছেন। এর সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ নেই। আমার এলাকায় নামডাক আছে, ভালবাসেন মানুষ ৷ তাই আমার নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ।’’