শহরের চার উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দিল বিশেষঞ্জ সংস্থা রাইটস। পোস্তা উড়ালপুল বিপর্যয়ের পরে শহরের উড়ালপুলগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। বাঘাযতীন, চিংড়িঘাটা, আম্বেদকর ও বঙ্কিম সেতু খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়া হল নবান্নে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে --
বাঘাযতীন উড়ালপুল
দেখার দায়িত্বে রাজ্য ও রেল দু-পক্ষই। রেল লাইনের উপরে থাকা সেতুর যে অংশ রয়েছে সেখানে বেশ কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই চাঙড় খসে পড়ার ঘটনা ঘটছে। ২০১১ সালে উড়ালপুলের মাঝের অংশে একটি ফাটল ধরা পড়েছিল। সেতুদিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল সেই সময়। সেতু সংস্কারের কাজ হলেও তা যথাযথ হয়নি।
advertisement
বঙ্কিম সেতু
দায়িত্বে রাজ্য সরকার। কয়েক মাস আগেই এই সেতুর স্তম্ভের নীচ দিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের জন্য টানেল বোরিং মেশিন চালিয়ে সুড়ঙ্গ কাটা হয়েছে। তাতে সেতুর ভিতরে সমস্যা হয়েছে। রিবাউন্ড হ্যামার পদ্ধতিতে একটি যন্ত্রের মাধ্যমে সেতুর কংক্রিট ও লোহার শক্তি পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া সেতুর উপরে একাধিক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে তা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। রেলিং ও ফুটপাথের ভাঙা অংশ অবিলম্বে সারাতে হবে।
চিংড়িঘাটা উড়ালপুল
দায়িত্বে রাজ্য সরকার। দুটি গার্ডারের মাঝের অংশে একাধিকবার কংক্রিট ভেঙে যাওয়া বা ফাটল ধরার ঘটনা নজরে এসেছে। উড়ালপুলের দুটি গার্ডার যেখানে পরস্পরের সাথে মিশেছে সেই অংশের উপরে স্ল্যাব এবং রেলিংয়ে ফাটল ধরা পড়েছে। সাময়িকভাবে তা সারানো হয়েছে। অবিলম্বে উড়ালপুলের সমস্ত এক্সপ্যানসন জয়েন্ট সারানোর পরামশ দেওয়া হয়েছে।
আম্বেদকর সেতু
দায়িত্বে রাজ্য সরকার। পুরোপুরি সংস্কার করতে হবে
ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা পড়েছে নবান্নে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাকি উড়ালপুলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শেষ হয়ে গেছে। চলতি মাসেই সেই রিপোর্টও জমা পড়তে চলেছে বলে খবর। অন্যদিকে সোমবারই নবান্নে গঙ্গার উপরে তৈরি হতে চলা নতুন ঈশ্বরগুপ্ত সেতু তৈরির কাজ শুরু হওয়া নিয়ে বৈঠক হয়। ইতিমধ্যেই তিনটি সংস্থা সেতু তৈরির জন্য দরপত্র জমা দিয়েছে। সেতুর নকশা চুড়ান্ত করেছে রাইটস। কোন সংস্থা সেতু তৈরি করবে তা ঠিক হবে এই মাসেই।