সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম - এর মধ্যে ৬টি স্টেশন। মাটির উপরে থাকা এই ৬টি স্টেশনেরই কাজ শেষ। তাড়াতাড়িই চালু হওয়ার কথা। কিন্তু, তার আগে ফায়ার অডিট করে যে রিপোর্ট জমা দিল দমকল, তাতে সল্টলেক স্টেডিয়াম এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল, এই দুটি স্টেশন ফেল।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সল্টলেক স্টেডিয়াম এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল, এই দুটি স্টেশনের প্রতিটিতে দুটি করে সিঁড়ি এবং একটি করে চলমান সিঁড়ি রয়েছে। যা যথেষ্ট নয়। সিঁড়ির সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে। সিঁড়ি আরও চওড়া করতে হবে। যাতে প্রয়োজনে ৬ থেকে ৮ মিনিটের মধ্যে স্টেশন থেকে সবাইকে বের করে আনা যায়।
advertisement
দমকলের বক্তব্য, দ্রুত নতুন সিঁড়ি তৈরি করুক মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এর জন্য রাজ্য সরকার জমিও দিচ্ছে। কিন্তু, জবরদখলকারীদের সরিয়ে কীভাবে সেই সিঁড়ি তৈরি করা যায়, সেটা দেখতে হবে মেট্রোকে।
দমকলের ডিজির থেকে রিপোর্ট বুধবার পৌঁছয় মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের পালটা দাবি, ন্যাশনাল ফায়ার প্রোটেকেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী মেট্রো স্টেশনগুলি তৈরি করা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট দেশের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রো প্রকল্প। যে ৬টি স্টেশন শুরুতে চালু হওয়ার কথা তার সবকটিই মাটির উপরে। রাইটসের মতো সংস্থা সমীক্ষা করে ছাড়পত্র দিয়েছে। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাধারণ দিনে এক ঘণ্টায় গড়ে তিনশোর কাছাকাছি যাত্রী এই সব স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করবেন। প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর ট্রেন চলবে। প্রতি ঘণ্টায় চলবে বারোটি ট্রেন। ফলে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে স্টেশনে যত জন থাকবেন তাঁদের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সিঁড়ি দিয়ে বের করে আনতে অসুবিধা হবে না।
সল্টলেক স্টেডিয়াম এবং বেঙ্গল কেমিক্যাল ছাড়া, বাকি চারটি স্টেশনকে ছাড়পত্র দিয়েছে দমকল।