সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ জানালেন, ‘‘ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় পদক্ষেপ করবে পুরসভা ৷ আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ডেঙ্গির প্রকোপ ৷ সাধ্যমত পরিকাঠামো দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে ৷ আমরা ডেঙ্গির নিয়ন্ত্রণ করছি ৷ ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভার যথেষ্ট পরিকাঠামো আছে৷ ’
এদিন অতীন ঘোষ আরও জানালেন, ‘প্লেটলেট মাপতে মেশিন কিনছে পুরসভা ৷ দ্রুত ও নির্ভুল প্লেটলেট গণনা হবে ৷ ডেঙ্গির রিপোর্ট কলকাতা পুরসভা দ্রুত দেয় ৷ এসএমএসের মাধ্যমে রিপোর্ট পৌঁছে যায় ৷ বেসরকারির থেকে পুরসভায় বেশি পরীক্ষা হয় ৷ ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুরসভার প্রাথমিক কাঠামো আছে ৷’
advertisement
অন্যদিকে ছট পুজোর আগে ঘাট পরিদর্শনে পুলিশ কমিশনার । আজ বিকেলে বেলুড়ে ঘাট পরিদর্শন করলেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার ডি পি সিং । ছট পুজোর আগে গঙ্গার ৫৩টি ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি। বালিখাল থেকে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন পর্যন্ত ঘাট পরিদর্শনে ছিলেন হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তীও । গঙ্গার ঘাটগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি ঘাটগুলি পরিছন্ন রাখতেও নির্দেশ দেন কমিশনার। বাজি নিয়ে ঘাটে ঢোকা যাবে না। একই পরিবারের অতিরিক্ত লোকজন ঘাটে থাকতে পারবেন না। জলপথ ও স্থলপথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। থাকবে স্পিডবোট। হাওড়া পুরসভার বিপর্যয় মোকাবিলা দল থাকবে ঘাটে। দুর্গাপুজো, কালীপুজোর মতই ছট পুজোর এক ঘণ্টার মধ্যে ঘাট পরিস্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমআইসি-দের।
ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু। গতকালের পর হাওড়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনার ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল দুজনের। বেলেঘাটা আইডিতে মৃত্যু হল দেগঙ্গার বাসিন্দা সফিক আলি মোড়লের। হাওড়া হাসপাতালে মৃত্যু হয় রুনু দেন নামে এক মহিলার। অন্যদিকে গত চব্বিশ ঘণ্টায় অজানা জ্বরে দেগঙ্গা, বারাসত, বসিরহাটে ও দুর্গাপুরে ছজনের মৃত্যু হয়েছে। অজানা জ্বর কি আসলে ডেঙ্গি? তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। অজানা জ্বরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।
রবিবারের পর ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হাওড়ায়। হাওড়া হাসপাতালে মৃত্যু হয় শরৎ চ্যাট্টার্জি রোডের বাসিন্দা রুনু দে-র। ২০ অক্টোবর জ্বর নিয়ে হাসপাতালের আইসিইউতে ভরতি হন রুনু। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা আছে।
জ্বরে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত উত্তর চব্বিশ পরগনাতেও। ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে দেগঙ্গার বাসিন্দা সফিক আলি মোড়লের। চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের কেয়াডাঙা চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা সফিককে প্রথমে হাড়োয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় সফিকের।
বারাসতের নেতাজিপল্লীর বাসিন্দা সাতাশ বছরের লিটন মণ্ডলের মৃত্যু হয় আরজিকর হাসপাতালে। জ্বরে দেগঙ্গায় মৃত্যু হয়েছে আরও তিন জনের।বারাসত হাসপাতালে মৃত্যু হয় চৌরাশি পঞ্চায়েতের দক্ষিণ মাটি কুমড়া গ্রামের বাসিন্দা আতিয়া বিবির। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় সুবণপুর লিচুতলার বাসিন্দা নূর জাহান বিবির। মাত্র সাতদিন আগে জ্বরে মৃত্যু হয়েছে তাঁর পূত্রবধূরও। জ্বরে মৃত্যু হয়েছে মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা মাফুরা বিবির। অন্যদিকে জ্বরে হাসনাবাদের জলশেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
অজানা জ্বরের থাবা দুর্গাপুরেও । ভিরিঙ্গি এলাকায় জ্বরে মৃত্যু হল গোবিন্দ বাগদি নাম তেইশ বছরের যুবকের। রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। অজানা জ্বর নিয়ে এই হাসপাতালে ভরতি কুড়ি জনের বেশি রোগী। এলাকা সাফাই অভিযানে নেমেছেন পুরকর্মীরা।
