বাবুঘাটে বিসর্জনের জন্য মূর্তি বহনের ক্রেন এবং বেশ কয়েক জন শ্রমিককে নিযুক্ত করে রেখেছে কর্পোরেশন। ঘাট যাতে কোনওভাবে নোংরা না হয়, তার জন্য হোস পাইপের মাধ্যমে জল দিয়ে পরিষ্কার করারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্পোরেশনের আধিকারিকদের কথা অনুযায়ী, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গঙ্গায় যাতে কোনভাবে দূষণ না ছড়ায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। তার জন্য নদীতে মূর্তি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে তুলে ফেলার জন্য ক্রেনের ব্যবস্থা করেছে। তাঁর আরও বক্তব্য, যেহেতু প্রতিমা নির্মাণে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং ব্যবহার হয় ,সে জন্য যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি জল থেকে প্রতিমা তোলার ব্যবস্থা তাঁরা করে রেখেছেন। প্রতিমা ক্রেন দিয়ে জল থেকে তোলার পাশাপাশি কর্পোরেশনের অনেক লরি রাখা হয়েছে । ওই লরিতে বিসর্জন দেওয়া প্রতিমা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
advertisement
আরও পড়ুন : দশমীতেও কড়াকড়ি গঙ্গার ঘাটে, বিসর্জনে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম
অন্যান্য বছর বিসর্জন হওয়ার পরও প্রতিমার কাঠামো গঙ্গাবক্ষে কিংবা গঙ্গাপাড়ে পড়ে থাকে। এ বার আর সেটি হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এ ছাড়াও কোভিড বিধি মেনে গঙ্গা ঘাটে বিসর্জনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুজোর আয়োজকরা কয়েকজন ছাড়া বেশি লোক যাতে ঘাটে না ঢুকতে পারেন , তার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা করে রেখেছে কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন : দশমীতেও কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় বৃষ্টি, শনিবার থেকে বাড়বে, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের
বিসর্জনের সময় যানজট লক্ষ করা যায় বাবুঘাট সংলগ্ন এলাকায় ৷ বাবুঘাটের বাজে কদমতলা ঘাটে পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে এবং রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। যাতে পথচলতি গাড়ি যেতে কোনও অসুবিধা না হয়। পাশাপাশি, গঙ্গাদূষণ নিয়েও সতর্ক রয়েছে কলকাতা কর্পোরেশন ৷