এই ভাবে বাসের ছাদে মালপত্র বহন করা, মোটর ভেহিক্যাল আইন বিরোধী, তবুও আইনকে পরোয়া না করেই দিনের পর দিন চলছে এই কাজ। কেউ মানেন না সে নিয়ম। আর তাতেই প্রশ্ন উঠছে, যারা আইন রক্ষার জন্য থাকেন বাসস্ট্যান্ডগুলোতে তাঁরা চুপ কেন? প্রায়ই দূরপাল্লার বাস এইরকম অতিরিক্ত মাল বহনের ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পরে। মানুষের প্রাণ যায় তবুও হুঁশ ফেরে না প্রশাসনের।
advertisement
আরও পড়ুন: ফের চোখরাঙানি করোনার, নবান্ন থেকেই বড় নির্দেশ মমতার!
ঝাড়খন্ড-গিরিডির দুই যাত্রীর দাবি, তাঁদেরও ভয় করে। কিন্তু কিছু করার নেই। বাসগুলির সামনে বসে রয়েছেন বাস কন্ডাক্টর। তাঁদের দাবি, বাসের উপরে মালপত্র নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। সার্জেন্ট মাঝে মাঝে এসে কেস দেন। কিন্তু তাহলে মাল এ ভাবে নেওয়া হয় কেন? প্রশ্ন শুনেই অন্যদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে নিলেন কন্ডাক্টররা। এই কেসের বিষয় নিয়ে কয়েকজনের দাবি, সার্জেন্ট নিয়ম রক্ষার জন্য গাড়িগুলিকে কেস করে।যদিও সেটা বাস কন্ডাক্টার কিংবা স্টার্টারদের সঙ্গে কথা বলেই।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রাজ্যপালের সঙ্গে স্বাক্ষাৎ রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের, শুরু চর্চা
প্রতি সন্ধ্যায় বাসস্ট্যান্ডে এত পরিমাণে মালপত্র জমা হয়। এতে সাধারণ গাড়ির যাতায়াতের যথেষ্ট অসুবিধা হয়। ঝাড়খণ্ডের গাড়িওয়ালারা অভিযোগ করেন, ওড়িষার গাড়িওয়ালারা অবৈধভাবে বাসের ছাদে মালপত্র নিয়ে যায়। আবার ওড়িষার গাড়িওয়ালারা অভিযোগ জানায়, ওটা ঝাড়খণ্ডের লোকেরা করে। কিন্তু যে বিপদজনক ভাবে শহর কলকাতা থেকে মালপত্র বাসের ছাদে করে যাচ্ছে, তাতে শহরেও দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। এমভিআই অভিযান চালালেও কোনও এক কারণে সেই অভিযানের স্থায়িত্ব কিংবা অভিযান চালানোর সমস্যা দাঁড়ায় বলে সূত্রের খবর। এর জেরে বাস, লরি ইত্যাদিতে ওভারলোডিং সমস্যা, এখনও পর্যন্ত থেকেই গিয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে অনেকটাই নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে বলেও সূত্রের খবর।