অন্যদিকে, এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দীপেন্দ্র রামকে (৪৬)। দীপেন্দ্র বিহারের রামনগরের বাসিন্দা। মৃত্যু হয়েছে দুই তামিলনাড়ুর বাসিন্দা দুই শিশুর, ১০ বছরের পি দিয়া এবং ৩ বছর ৮ মাস্যার পি রাউতের। ১৩ বছরের প্রণয় পাঠক, ২২ বছরের আরাধ্যা আগরওয়াল এবং ৪০ বছরের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ রয়েছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সবমিলিয়ে এনআরএস হাসপাতালে পাঁচ অগ্নিদগ্ধের দেহ রয়েছে। এনআরএস হাসপাতালে মৃতদের পরিবার এখনও কেউ এসে পৌঁছয়নি। পাশাপাশি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬১ বছরের এস মুথু কৃষ্ণন এবং ৪৫ এবং ৫০ বছরের দুই অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের দেহগুলি ইতিমধ্যেই পুলিশ মর্গে স্থানান্তর করা হয়েছে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারের এই হোটেলে মোট ৪২ ঘরে ৮৮ জন আবাসিক ছিলেন মঙ্গলবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের সময়, সঙ্গে ছিলেন হোটেলে কর্তব্যরত ৬০ কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, ২ শিশু এবং এক মহিলা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও ১৩ জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে আগুন লাগার পর ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে এক হোটেলকর্মীর মৃত্যু হয়৷ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘরের ভিতরে তল্লাশিতে ঢোকেন দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা৷ তখনই বিভিন্ন ঘর থেকে আরও ১৩টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়৷ রাত ৩.১৫ নাগাদ নগরপাল মনোজ ভার্মা নিজেই এই খবর জানিয়েছেন৷ আর কোনও দেহ হোটেলের ভিতরে আটকে রয়েছে কিনা তা খোঁজ করে দেখা হচ্ছে৷
হোটেল থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ তাঁদের মধ্যে ১৫ জন ছিলেন হোটেলের ছাদে৷ সাত জনকে হোটেলের বিভিন্ন ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়৷ মঙ্গলবার রাত সাড়ে আট’টা নাগাদ মেছুয়া বাজার এলাকার বহু পুরনো এই হোটেলটিতে আগুন লাগে৷ হোটেলে তিন থেকে ছ’তলা পর্যন্ত আবাসিকদের থাকার ঘর ছিল৷ দোতলায় ছিল রেস্তোরাঁ৷ অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলের বহু ঘরেই আবাসিকরা ছিলেন৷ তাঁদের মধ্যে ভিনরাজ্যের বাসিন্দারাও ছিলেন৷ দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে৷