ডেঙ্গি পর্যালোচনায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার বৈঠক হয় আজ, মঙ্গলবার। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নারায়ণ স্বরূপ নিগম-সহ একাধিক অধিকর্তারা ছিলেন। ছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পুর কমিশনার বিনোদ কুমার, কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
কলকাতা পুরসভার বরো চেয়ারম্যানও ছিলেন বৈঠকে। ছিলেন কলকাতা পুরসভার পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ দেবাশিস বিশ্বাস।
advertisement
কলকাতা পুরসভার অ্যাডভাইসরি নোটিসে যা বলা হয়েছে
★স্কুল প্রেমাইসেস ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যাতে এডিস এজিপ্টাই প্রজাতি মশার লার্ভা না জন্মাতে পারে। প্রয়োজনে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
★স্কুল ছাত্র ছাত্রীদের যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখতে হবে। প্রয়োজনে ফুলপ্যান্ট ও ফুলহাতা শার্ট পড়া বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ। যাতে এডিস এজিপ্টাই মশা ছাত্র ছাত্রীদের শরীরের কোনও অংশে কামড়াতে না পাড়ে।
★ স্কুলে কোনও ছাত্র ছাত্রীর জ্বর হলে পুরসভার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কলকাতা পুরসভার নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট কলকাতা পুরসভার কাছে পাঠাতে হবে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন : মায়ের সামনেই বিনা বাধায় প্রকাশ্য রাজপথে তরুণীকে বিবস্ত্র করল ছেলে, কদর্য কাণ্ডে প্রতিবাদের ঝড়
★রক্তের নমুনা ডেঙ্গি পজেটিভ হলে তা কলকাতা পুরসভার নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে জানাতে হবে। যদি বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা করা হয়, নমুনা রিপোর্ট মেইল করে কলকাতা পৌরসভার প্রধান কার্যালয়ে জানানো যেতে পারে।
রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কলকাতা পুরসভার বৈঠকের পর কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘ পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। আগে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের অনেকেই পুরসভার কর্মীদের স্কুলে মশার লার্ভা আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে বাধা দিতেন বা ঢুকতে দিতেন না। গত কয়েক বছরে আমি নিজে বিভিন্ন স্কুলে পরিদর্শন করেছি। তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি হয়েছে। এখন এই সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে।’’
কলকাতা পুরসভার পতঙ্গবিদ ডক্টর দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শ মেনে কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যে স্কুলগুলিকে অ্যাডভাইসারি নোটিস পাঠাতে শুরু করেছে। কলকাতা শহরের সরকারি বেসরকারি এবং পুরসভার সমস্ত স্কুলেই একই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
পুরসভার সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই কলকাতা শহরের যে সমস্ত প্রাইমারি স্কুল রয়েছে তাদের জন্য প্রাইমারি স্কুলের কাউন্সিল চেয়ারম্যানকে এবং জেলা পরিদর্শক প্রাইমারি ও জেলা পরিষদ দর্শক সেকেন্ডারিকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।