যদিও নজরুল মঞ্চের মাত্রাতিরিক্ত ভিড়, অব্যবস্থা নিয়েই ইতিমধ্যেই অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করেছে। উপস্থিত অনেকেই বলছেন, মঙ্গলবার এই ভিড়ের পরিস্থিতি সামাল দিতে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ এসেছিল। কিন্তু উদ্যোক্তারা পুলিশের বারণ শোনেনি বলেই অভিযোগ। যা সিট ক্যাপাসিটি, তার থেকে দ্বিগুণের বেশি দর্শক ঢোকা নিয়ে পুলিশ আপত্তি করেছিল। সেই সময় ছাত্রদের পক্ষ থেকে একজন পরিচয় দিয়েছিল তিনি প্রেসিডেন্ট। ওই অরাজকতার মধ্যে একটি ছাত্রের বাম হাত ভেঙে যায় বলে অভিযোগ। আর একজন ছাত্রের ওই ভিড়ের মধ্যে খুব সম্ভবত পড়ে গিয়ে হাত পা কেটে যায়। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল নজরুল মঞ্চে।
advertisement
আরও পড়ুন: মুছে গেল 'ইয়ারো দোস্তি'র মায়াজাল, 'জব তুনে কহে দিয়া, আলবিদা' কেকে...
সোমবার নজরুল মঞ্চে বেহালা বিবেকানন্দ কলেজের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেন কেকে। মঙ্গলবার সেই নজরুল মঞ্চে ফুলবাগান গুরুদাস কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠানে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। কেকের অনুষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কেউ কেউ বলছিলেন, এদিন মঞ্চে প্রচণ্ড ঘামছিলেন গায়ক। কিছুটা অস্বস্তিও বোধ করছিলেন। অনুষ্ঠান করতে করতেই মঞ্চে থাকা স্পটলাইট বারবার বন্ধ করতে বলেছিলেন কেকে। তাঁর শরীরে যে একটা অস্বস্তি হচ্ছিল, সেটা অনেকেরই চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন: প্রচণ্ড ঘামছিলেন, বারবার স্টেজ-এর স্পটলাইট বন্ধ করতে বলছিলেন কেকে
আরও জানা যায়, এদিন একটা-দুটো গান করার পর বেশ কিছুক্ষণ করে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কেকে। পরে অবশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। আবার তাঁকে স্বাভাবিক ছন্দে দেখা যায়। কিন্তু ফেরার পথেই অসুস্থ। সুরের শহর, প্রাণের শহর, গানের শহর কলকাতা থেকে চিরবিদায় নিলেন কেকে। নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীনই তিনি অসুস্থতা বোধ করেন বলে খবর। নির্ধারিত সময়ের আগেই মঞ্চ ছাড়েন কে কে। ফিরে যান হোটেলে।