২০২১-এর বাংলার নির্বাচনে ঝড় তুলেছিল একটাই স্লোগান, ‘‘খেলা হবে’’। রাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে সেই ‘‘খেলা হবে" স্লোগান আজ দেশের নানা প্রান্তে উচ্চারিত হচ্ছে। বাংলায় যিনি খেলা হবে স্লোগানকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন তিনি হলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বাংলার বিধানসভা ভোটের ময়দানে দাঁড়িয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘আসুন, খেলা হয়ে যাক।’’ তাঁর অন্যতম সেনাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হুঙ্কার ছিল, ‘‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা জানিয়েছিলেন, ‘‘আমরাও বলছি খেলা হবে। তোমাদের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন- রাশিফল ৩০ অগাস্ট; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
‘খেলা হবে’-র বার্তা দিয়ে নবান্ন অভিযান করেছেন বাম ছাত্র-যুবরা। হুমকিতে, চ্যালেঞ্জে, গানে, প্যারোডিতে, পোস্টারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গত এক বছর ধরে বার বার ট্রেন্ডিং হয়েছে, খেলা হবে, খেলা হবে! দেবাংশু জানিয়েছেন, "দেখতে দেখতে এক বছর! এই স্লোগান আমার কাছে সন্তানের মত। এই স্লোগান আমার কাছে আবেগ। রাস্তাঘাটে আজও কেউ দেখলে যখন "খেলা হবে" বলে সম্মোধন করেন, ভেতরে ভেতরে বড্ড আনন্দ পাই। সেই স্লোগান বা গানে বদল আসছে।’’
আরও পড়ুন- দীপাবলিতেই কলকাতায় ৫জি পরিষেবা, ঘোষণা মুকেশ আম্বানির
ভারতবর্ষের এযাবৎকালের কোনও স্লোগান এই পর্যায়ে পৌঁছেছে কিনা সন্দেহ আছে, বলে মনে করেন দেবাংশু। বিধানসভা ভোটের আগে 'খেলা হবে' স্লোগান দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই স্লোগানটি জনপ্রিয় হয়েছিল গোটা বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলের শীর্ষ নেতাদের সভা হোক বা তৃণমূলের কর্মসূচি সবেতেই জুড়ে ছিল, ‘খেলা হবে’। প্রশাসনিক মহলেও " খেলা হবে" এখন পরিচিত। খেলা হবে দিবস পালন করছে রাজ্য সরকার।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘‘খেলা ছাড়া জীবন চলে না। খেলার মধ্যে দিয়ে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সুস্বাস্থ্য গড়ে ওঠে। জাপানেও অলিম্পিক চলছে। খেলা হবে স্লোগানটা চিরস্থায়ী করা দরকার। বিভিন্ন খেলা ও কর্মসূচির মাধ্যমে খেলা হবে স্লোগানকে কার্যকরী করতে হবে। স্লোগানটা এতটাই জনপ্রিয়, যখন নির্বাচনের সময় গ্রামে গঞ্জে যেতাম, আমি নামতে না নামতেই চিৎকার শুরু হয়ে যেত- খেলা হবে।’’