তন্দুরের কাঠ-কয়লার নরম উত্তাপে ফুলে উঠছে রুটি। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্লেটে উঠে আসার অপেক্ষা সাদা ফনফনে তন্দুরী রুটি। মিষ্টি গন্ধে ম’-ম’ করছে চারপাশ। পাশেই কাঠ-কয়লার আগুনে ঝলসানো হচ্ছে কাবাব। মশলা-তেল আর চর্বি চুঁইয়ে নামছে আগুনে। পোড়া মাংসের কটু ফ্লেভারে মাতোয়ারা জিভ-উদর আর প্রাণ। প্রস্তুত স্বাদ নিতে। তপ্ত রুটি আর উষ্ণ ধোঁয়া-ওঠা কাবাবের।
advertisement
মশগুল আপনি। অপেক্ষায় আছেন। ঘ্রাণে আর যাই হোক। অর্ধেকের বেশি ভোজন তো আর হয় না। সেই কারণেই, ধোঁয়া ওঠা কাবাব-রুটির কেউ কেউ নাকি আট-দশ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে আসেন এইসব কাবাবের স্বাদ নিতে। স্বা-দিষ্ট মোগলাই খানার পুষ্টিকর মেজাজ।
রুচি বদলাচ্ছে। বাঙালি রসনার। বড় রেস্তোরাঁ থেকে পাড়ার কেবিন। অফিস পাড়ার চটজলদি টিফিন থেকে বৈকালিক আহার। দখল নিচ্ছে তন্দুরি কাবাব আর রুটির জমজমাট আড্ডা। আপনিও খুশ। অস্বস্তি নেই। কম মশলাদার বলে নেই পৈটিক গন্ডগোলও।
এই কাবাব আবার জমে যায় তন্দুর কত ভাল তার ওপর। পাথুরে কয়লার তাপে ঝলসে যাওয়ার থেকে, খাদ্য রসিক আর সেরা রাঁধুনিদের সেরা পছন্দ কাঠের আগুন। বলা ভাল কাঠ কয়লার আগুন যা ধিকিধিকি জ্বলে। পুড়িয়ে আংড়া করে না। ধীরে ধীরে মজায় কাবাবকে। সুসিদ্ধ হয়। একই রকম ভাবে ময়াম মাখা ময়দার লেচিতে বানানো রুটি। কাঠকয়লার আগুনে সেঁকা হয় রুটির অন্দর পর্যন্ত। এক কামড়েই গলে যায় মুখে।