গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্টগামী মেট্রো লাইনের মধ্যে রুবির কাছে অভিষিক্তা অঞ্চলে একটি জট দেখা গিয়েছিল। সেই জটের সমাধান হয়েছে। এর পরই ট্রায়াল রানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, একটি নন এসি রেকেই ট্রায়াল রান চালানো হবে গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত। নোয়াপাড়া কারশেড থেকে এই নন এসি রেক আনা হবে কবি সুভাষ স্টেশনে। গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মোট ৩২ কিলোমিটারের মধ্যে কবি সুভাষ থেকে রুবি পর্যন্ত পড়ছে ৫টি স্টেশন।
advertisement
আরও পড়ুন: মহালয়াতেও ভাসবে উত্তর, কী হবে দক্ষিণবঙ্গে? জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
রুবি মোড়ের স্টেশনটির নাম দেওয়া হয়েছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশন। এক বছর আগেই এই পাঁচটি স্টেশন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, অভিষিক্তার কাছে ১৬০ মিটার ভায়াডাক্ট বসানো নিয়ে জটিলতার জেরে তা পিছিয়ে দেয়। তবে সেই জট কেটেছে। ফলে গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট মেট্রো পথে প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল রানে আর কোনও সমস্যা নেই বলে জানাচ্ছে মেট্রো। তবে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হলেও আপাতত এই ৫টি স্টেশনে 'ওয়ান ট্রেন ওনলি' পদ্ধতিতেই মেট্রো চলবে। অর্থাৎ, একবার একটিই রেক চালানো হবে। সেটি গন্তব্যস্থলে পৌঁছলে ফের অন্য রেক যাত্রা শুরু করবে।
আপাতত সিগনালিং ব্যবস্থা ছাড়াই নিউ গড়িয়া-রুবি পর্যন্ত মেট্রো ছুটবে। এই ৬ কিলোমিটার পথে সত্যজিৎ রায়, জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী স্টেশনের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। তবে কবি সুকান্ত এবং নিউ গড়িয়া স্টেশনের কাজ সামান্য বাকি রয়েছে। অভিষিক্তা মোড়ে উড়ালপুলের কাজ দীর্ঘদিন জমি জটে আটকে ছিল। তবে জমি জট কাটতেই সেই কাজ শেষ হয়েছে। তাই বছরের শেষেই চালিয়ে দেওয়া হবে মেট্রো। কয়েকদিন আগেই জোকা থেকে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার পথে ট্রায়াল রান হয়েছিল৷