শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় হাওড়ার ডোমজুড়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন৷ সেখানেই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতিকে তো কোথাও দেখলাম না, এদের পাশে এসে দাঁড়াতে৷ আমি দুঃখিত এটা বলার জন্য। তৃণাঙ্কুর না কি একটা যেন নাম! তাকে তো কোথাও দেখলাম না এই ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়াতে ৷ আমি দুঃখিত এই সব বলতে হচ্ছে, কিন্তু দলের তো এটা দেখা উচিত। দলের দেখা উচিত, এরা কেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকবে? যারা ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে পারে না। সময় এসেছে যখন তখন সব পর্যালোচনা করতে হবে৷ আজ তো আমাদের সব দেখতে হচ্ছে ৷ একটা সংগঠন থাকবে, কিন্তু তা কোনও কাজ করবে না?’’
advertisement
তিনি এদিন আরও বলেন, ‘‘সেই সংগঠনের কোনও যোগসূত্র নেই৷ এটা হতে পারে না ৷ আমি জানি অনেক সমালোচনা হবে৷ তাতে আমার অসুবিধা নেই৷ বিপদে যদি ছাত্রদের পাশে না থাকে, তাহলে ছাত্রদের সভাপতি কেন? মঞ্চে এসে মালা নেওয়ার জন্য৷ না নেতাদের পেছন পেছন ঘুরে বেড়ানোর জন্য?এই তো নেতা! এতগুলো ছেলে কলেজ থেকে সাসপেন্ড হয়ে গেল। টিএমসিপি করা সব ছেলে। আর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির মুখে কোনও ভাষা নেই৷ কোনও কথা নেই। অবিশ্বাস্য। আমি এটা ভাবতে পারছি না। কার আশীর্বাদের হাত এর মাথায় আছে? সে এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে৷ আমি ভাবতেই পারছি না। ছাত্র পরিষদের কোনও ছেলের কিছু হলে আমরা দৌড়ে যাই৷ আমরাই তো থাকি৷ আমি দুঃখিত। আমি দেখে কষ্ট পেয়েছি ৷ বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পাশে কেউ নেই৷ তারা আমার কাছে আসছে৷ কুণাল ঘোষ তাদের খেয়াল রেখেছে ৷ কুণাল আর আমি মিলে করছি৷ এই লড়াই আমরাই করব৷ দলের কোনও কর্মীর ওপর অন্যায় হতে দেব না যতক্ষণ আছি।’’
প্রসঙ্গত, থ্রেট কালচারের অভিযোগে একাধিক মেডিক্যাল কলেজের স্টুডেন্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ তাদের অভিযোগ ছিল, তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করে বলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই সব ছাত্রদের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সব ছাত্রদের পাশে না দাঁড়ানোর অভিযোগ কল্যাণের।