কলকাতা: ৩২ হাজার চাকরি থাকবে? নাকি ফিরবে ২৬ হাজারের স্মৃতি৷ হাইকোর্টের বুধবারের রায়ের দিকে তাকিয়ে দমবন্ধ করে অপেক্ষা করছিলেন ২০১৪ সালের পরীক্ষায় প্রাথমিকে চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা৷ অবশেষে মিলল স্বস্তি৷ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশ খারিজ করে শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ৷ আর এরপরই মুখ খুললেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যা।
advertisement
তৎকালীন সিঙ্গল বেঞ্চের রায়প্রদানকারী বিচারপতি, বর্তমানে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন তৃণমূলের সাংসদ তথা অভিজ্ঞ আইনজীবী কল্যাণ। তিনি বলেন, ”বিচারপতি রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হলে দেশের বিচারব্যবস্থা, সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়।” পাশাপাশি কল্যাণের সংযোজন, ”সিঙ্গল বেঞ্চ বলেছিল ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি কেউ। ন’বছর ধরে চাকরি করছেন শিক্ষকরা। তাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হল কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে। ভাল রায় দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। আমরা ডিভিশন বেঞ্চের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কৃতজ্ঞ বিচারপতিদের কাছে।”
আরও পড়ুন: প্রাইমারিতে ৩২ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বহাল! সত্যের জয় হল, লিখলেন শিক্ষামন্ত্রী
অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কল্যাণ আরও বলেন, “বিচারব্যবস্থায় যাঁরা বিচার করেন, তাঁরা সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে, নিজস্ব ভাবনা, নিজস্ব পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে গিয়ে কাজ করেন, যা আজ ডিভিশন বেঞ্চ করেছে।”
এদিকে, আদালতের এই রায়দানের পরেই এক্স হ্যান্ডলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘আজকে মহামান্য হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অভিনন্দন জানাই। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বাতিল হয়েছে। ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রইল। শিক্ষকদেরও সতত শুভেচ্ছা। সত্যের জয় হল।’
