অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সকালের বিমানে কলকাতা থেকে বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা দেবেন ৩ জন। দেখা করেই তাঁরা রবিবার ফিরে আসবেন। অভিষেক রাজ্যপালের উদ্দেশে ধর্নামঞ্চ থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন,‘‘আপনি যদি মনে করেন পুজো কাটিয়ে ফিরবেন, তা হলে তা-ই হবে। সপ্তমী, অষ্টমীতে আমি একা বসে থাকব। আপনারা শুধু পাশে থাকলেই হবে।’’ তিনি যাদের পাঠাচ্ছেন তারা যে প্রতিনিধি দলের তরফে আসলে রাজ্যপালকে বার্তা দিতে যাচ্ছেন সেটা জানাতেই দুই সাংসদ ও এক মন্ত্রীর যাওয়া।
advertisement
রাজনৈতিক মহলের মতে, অভিষেক ইতিমধ্যেই দু’টি বার্তা দিয়েছেন এক, দার্জিলিঙে ৩ দলীয় নেতা-নেত্রীকে পাঠিয়ে তৃণমূল সৌজন্যের বার্তা দিল। দুই, রাজনৈতিক লড়াইয়ের জমি ছাড়া হবে না, তাও বুঝিয়ে দিলেন। কলকাতায় এসে রাজ্যপাল দেখা না করা পর্যন্ত তিনি রাজভবনের সামনের ধর্না থেকে উঠছেন না। শনিবার সকাল ১০’টা নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী-সাংসদরা রওনা হবেন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশ্য। বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাদের সাথে রাজ্যপালের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা আছে। তৃণমূলের বক্তব্য রাজ্যপালকে জানাবেন তারা৷
সূত্রের খবর, লিখিত আকারেও একটা আবেদন পত্র দেওয়া হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই প্রতিনিধি দল মূলত রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করে দেখা করার সময় চাইবেন। অভিষেক বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বাংলার রাজ্যপাল। রাজ্যপাল পদকে সমর্থন করি। আর বাংলা শব্দটা জুড়ে আছে। তাই সৌজন্যের খাতিরে তিন সদস্য দেখা করবেন রাজ্যপালের সঙ্গে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বকেয়ার দাবিতে আন্দোলন ঘিরে গ্রামের মানুষের মন পাওয়া গেছে। বিজেপি এতে রাজনৈতিক ভাবে চাপে আছে। তাই এই আন্দোলন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস রীতিমতো অঙ্ক কষে এগোচ্ছেন।