এ দিন রাত দশটা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্স করে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কালীঘাটের কাকুকে৷ সূত্রের খবর, সেখানে প্রথমে তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবেন চিকিৎসকরা৷ তার পরেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ভয়েস টেস্ট করা হবে৷ তার জন্য হাসপাতালের একটি অপারেশন থিয়েটারও তৈরি রাখা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: যে কোনও শর্তে বাড়ি ফিরতে রাজি ছিলেন, নতুন বছরেও ইচ্ছেপূরণ হল না পার্থর
advertisement
সূত্রের খবর,চিকিৎসক এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হবে৷ কাগজে লেখা তাঁকে পড়তে দেওয়া হবে৷ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই লেখা পড়তে হবে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে৷ সেই ভাষ্যপাঠই রেকর্ড করে পরীক্ষার জন্য পাঠাবে ইডি৷
তবে লেখা পড়ার সময় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কণ্ঠস্বর বিকৃত করছেন কি না, তা নজর রাখা হবে৷ ওই কণ্ঠস্বরের নমুনাই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের হাতে তুলে দেওয়া হবে৷
কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর রাতেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এসএসকেএম হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার কথা৷ কোনও কারণে তা সম্ভব না হলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে রাতে জোকা ইএসআই হাসপাতালেই রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনেক দিন ধরেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টায় ছিল৷ কলকাতা হাইকোর্টও কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিল৷ কলকাতা হাইকোর্টে ইডি-র অভিযোগ ছিল, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করছে না এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ শেষ পর্যন্ত এ দিন রাত ৯টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বের করা হয় কালীঘাটের কাকুকে৷