জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাকিবুর, তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং জ্যোতিপ্রিয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়ি, মিল, অফিসে তল্লাশি করে মোট ২৫টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি৷ এই মোবাইলগুলির ডিলিট চ্যাট, হোয়াটস্যাপ চ্যাট, ফোন কল হিস্ট্রিই এখন ইডির কাছে নয়া হাতিয়ার। মোবাইল থেকে মুছে ফেলা ডিলিট চ্যাট ও বেশ কিছু এভিডেন্স পুনরুদ্ধার করার জন্য ফরেন্সিক করানো হবে বাজেয়াপ্ত কিছু মোবাইলের।
advertisement
আরও পড়ুন: হাওয়ায় শীতের গন্ধ, গায়ে শিরশিরানি! এই সব জেলায় পারদ নামল ২০ ডিগ্রির নীচে
কিন্তু, কেন মোবাইল হঠাৎ এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল গোয়েন্দাদের কাছে? ইডি সূত্রের খবর, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের শিকড়ের খোঁজ পেতে কার কার সঙ্গে ফোনে কথা বলা হয়েছে, কোন প্রভাবশালীর যোগাযোগ এতে থাকতে পারে, কোথায় কোথায় আর্থিক লেনদেন হয়েছে, এ সমস্ত তথ্য মোবাইলের মাধ্যমে পাওয়া যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের থেকে ২টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এর মধ্যে একটি আইফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এরকম বাকিবুর ও তাঁদের ঘনিষ্ঠ, জোত্যিপ্ৰিয় ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের থেকে ২৫টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যার মধ্যে রয়েছে তথ্যপ্রমাণের খনি, দাবি ইডির।
ইডি সূত্রে খবর, মোবাইলের কথোপকথন, কল রেকর্ড, চ্যাট হিস্ট্রি ও ডিজিটাল লেনদেনে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এই ডিজিটাল এভিডেন্সকেই হাতিয়ার করতে চলেছে ইডি। ইডি সূত্রে আরও খবর, এখনও পর্যন্ত রেশন দুর্নীতিতে মোট প্রায় ১০টি শেল (ভুয়ো) কোম্পানির হদিস মিলেছে, আরও শেল কোম্পানি থাকতে পারে বলে ইডির অনুমান৷ যেগুলির মধ্যে দিয়ে মানি লাউন্ডারিং করা হত বলে ইডির দাবি।
আরও পড়ুন: রেশনের ১ কেজি আটা থেকে ৪০০ গ্রামই গায়েব! কী ভাবে চলত বাকিবুরদের দুর্নীতির স্কিম? জানেন..
কারণ, এই কোম্পানি গুলির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত বলে দাবি ইডির। এই শেল কোম্পানি গুলি থেকে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ঘুরিয়ে সাদা করা হত বলে দাবি ইডির। আর এবার তাই মোবাইলের তথ্য বা ডিজিটাল লেনদেন ইডির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই এভিডেন্সের মধ্যে এমন কিছু তথ্য লুকিয়ে আছে যা কি না, ইডির তদন্ততে নয়া রসদ যোগাবে, দাবি ইডির।
ARPITA HAZRA