এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ওই ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীকেই ভোটে লড়ার সুযোগ দিতে হবে৷ পাশাপাশি, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যে লাগামছাড়া অশান্তি চলছে, তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা৷
আরও পড়ুন: ২০১৩ সালের থেকেও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট! ফের ধাক্কা কমিশনের, নির্দেশ হাইকোর্টের
advertisement
ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, ‘যদি একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত রক্তপাত, হিংসা, সংঘর্ষ হয় তাহলে এই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এটা রাজ্যের পক্ষে লজ্জার। যদি আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা হয় যে প্রার্থীরা সময় মতো মনোনয়ন পেশ করতে পারবেন না, তাহলে তাঁদের অতিরিক্ত সময় তো দিতেই হবে।’
পাল্টা রাজ্যের পক্ষ থেকে সওয়াল করা হয়, রাজ্যের মাত্র ৮টি ব্লকে অশান্তি হয়েছে৷ বাকি সর্বত্রই ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে৷ ১৯৯৯ সালে পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির উদাহরণও দেন রাজ্যের আইনজীবী৷ বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, অতীতে আরও বেশি অশান্তি হত পঞ্চায়েত ভোটে৷ একথা শুনেই বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘১৯৯৯ সালে কি হয়েছিল, ২০০৩ সালে কী হয়েছিল সেসব কথা বলবেন না। আমার কাছে মামলা আসছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষদের মারধর করা হচ্ছে, ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব কী?’