এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”কুণাল ঘোষের সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব মতো হয়ে গিয়েছে। একদিন আমার চেম্বারে এসেছিলেন। আমি তো বেশ অবাক হয়ে গেছিলাম। মানুষটা খারাপ না। আমি একটু অনুষ্ঠানে গেছিলাম। উঠে দাঁড়িয়ে আমার সঙ্গে কথা বললেন। ভদ্র মানুষ, ভাল ব্যবহার করলেন। আমিই বা কেন খারাপ ব্যবহার করব।”
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য বিরাট ঘোষণা মমতার! আজ থেকে চালু যোগ্যশ্রী!
এরপর কুণাল ঘোষের আরও প্রশংসা করে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ”কুণাল ঘোষ একটি উপন্যাস আমাকে পাঠিয়েছেন। বেশ ভাল লিখেছেন। লেখার হাত খুব ভাল। যদিও আমাকে গালাগাল করতে ছাড়ছেন না। আমাকে টুল নিয়ে বাইরে বসতে বলেছেন। মাঝেমধ্যে আমার খবর নেন। কল্যাণ দা ( কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়) তো আমার পদত্যাগ চেয়েছেন। আমি তো ভাবলাম আজকেই এজলাসে এসে আমাকে পদত্যাগ করতে বলবেন।”
আরও পড়ুন: ভয় নেই এ মেয়ের, কিন্তু জয়! ব্রিগেড হল, ব্যালট লাল হবে তো ‘ক্যাপ্টেন’?
রেশন দুর্নীতিতে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে ইডির তল্লাশি অভিযান ঘিরে শুক্রবার সকালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির সরবেড়িয়া। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি (ED) আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে গেলে বাধা দেন স্থানীয়রা। শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও হামলার মুখে প্রায় পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। সন্দেশখালির সেই দৃশ্য সংবাদমাধ্যমে দেখে নিজের এজলাসে বসে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কেন এখনও রাজ্যপাল ঘোষণা করছেন না যে, রাজ্যের সাংবিধানিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে? যদি তদন্তকারীরাই মার খান, তাহলে তদন্ত হবে কী করে?” এখানেই শেষ নয়, শুনানি চলাকালীন সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে বন্দুক থাকে না? চালাতে পারেন না?” বিচারপতির এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের তরফে। কুণাল ঘোষ রীতিমতো চড়া সুরে পালটা বিঁধেছেন তাঁকে। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।