বিচারপতি আরও জানান, প্যানেল যদি আগেই প্রকাশ গিয়ে থাকে তাহলে তার হার্ড এবং সফট কপিও আদালতে জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে৷ আগামী ১৫ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি৷ সেদিনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে প্যানেল পেশ করতে হবে পর্ষদকে৷
২০১৬ সালের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা এবং বেনিয়ম রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, চাকরি পাওয়া ৪২৯৪৯ জনের মধ্যে ৩২ হাজার জনই ছিলেন অপ্রশিক্ষিত৷
advertisement
আরও পড়ুন: কথার লড়াই বন্ধ করুন, দলের নেতাদের মমতার ত্যাগের কথা মনে করালেন ফিরহাদ
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অবশ্য আদালতে জানায়, ধাপে ধাপে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে৷ যা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘যদি প্যানেল প্রকাশ হয়েই থাকে তাহলে ডিভিশন বেঞ্চ সেই প্যানেল প্রকাশের ওপর স্থগিতাদেশ কীভাবে দেয়?’
এই মামলায় আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়৷ ফের নতুন করে তিন মাসের মধ্যে ৩২ হাজার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ যে শিক্ষকরা চাকরি হারান, তাঁরাও এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি৷
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো শিক্ষকদের একাংশ৷ ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ দিয়ে জানায়, ওই ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি এখনই বাতিল হচ্ছে না৷ কিন্তু তাঁদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে এবং সফল হলে তবেই চাকরি থাকবে৷