বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘আমায় আমার বন্ধু কিশোরের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আমি রাগের মাথায় অনেক কিছু বলেছি। বারের সকলের জানা উচিত। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, “আমিও, ওই দিন অনেক কিছু বলেছিলাম।” তাতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “আপনি,যা শুনেছেন তাই বলেছেন। তবে আমি যা বলেছিলাম রাগ করে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।”
advertisement
বারের অন্যান্যদের উদ্দেশ্যে এরপরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আপনারা জানেন না, কিশোর আমার কত উপকার করেছে। এমনও হয়েছে, কিশোর আর আমার আর এক বন্ধু না থাকলে আমি মরে যেতাম।” স্মৃতি রোমন্থন করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ” কিশোর, আমি, জয়মাল্য আরও কয়েকজন আমরা এক সঙ্গে ঘুরে বেড়াতাম। এই ভাবে বেশ কিছুক্ষণ চলে কথোপকথন। শেষমেশ দুপুর ১২ টা নাগাদ মিটল দ্বন্দ্ব।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভর্তিতে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র সংক্রান্ত মামলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল ও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেছিলেন, কার পাদুকালেহন করে তিনি দ্বিতীয়বার অ্যাডভোকেট জেনারেল হয়েছেন তা তিনি জানেন। সেই বিতর্কে আপাতত ইতি পড়ল বলেই মনে করছেন আইনজীবীরা।