চার সপ্তাহের মধ্যে নেফাউর শেখকে ‘৬ ভুল প্রশ্নে’ নম্বর দিয়ে ইন্টারভিউতে বসানোর নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ তাঁর। ৬ প্রশ্ন ভুলের নম্বর পেয়ে ২০১৪-তে টেট পাশ করেন নেফাউর। ২০২১ সালে এসে পর্ষদ জানায়, নেফাউর টেট উত্তীর্ণ, তবে নিয়োগের বয়সসীমা পেরোনোর কারণে তাঁকে এখন চাকরি দেওয়া যাবে না। পর্ষদের এমন অবস্থান নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিচারপতি।
advertisement
আরও পড়ুন: কবের মধ্যে চাকরি প্রিয়ঙ্কা সাউ-এর? এবার এসএসসি-কে দিন বেঁধে দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
বর্তমানে নেফাউর শেখের বয়স ৪৪ বছর। কাজেই ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ হলেও ২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাওয়া উচিত বলে পর্যবেক্ষণ রাখেন বিচারপতি। কার্যত ২০১৪-তে টেট উত্তীর্ণ হলে এবং ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়সসীমার মধ্যে পরীক্ষার্থীর বয়স হলে এখনও চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, নেফাউর শেখ মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যত সেই বিষয়টাই সামনে এনে দিয়েছে। অন্যদিকে কারা ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ, কারা ৬ প্রশ্ন ভুলের নম্বর পাওয়ার অধিকারী, তা ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রায় ১১৭৬৫ শূন্যপদে নিয়োগের আবেদন করার শেষ দিন ১৪ নভেম্বর। এই অবস্থায় ৬ প্রশ্ন ভুলে কারা কারা নম্বর পাওয়ার যোগ্য বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মনে করে, তা শুক্রবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: সাদা খাতা জমা দিয়ে রাজ্যের স্কুলে চাকরি পেয়েছেন ৮১৬৩ জন, সিবিআইয়ের রিপোর্টে চাঞ্চল্য
এ দিন মামলা চলাকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর দেওয়া তথ্য আবার নতুন বিতর্কে রসদ জুগিয়েছে। পর্ষদ এদিন জানায়, টেট ২০১৪ পরীক্ষার দিন অনুপস্থিত ছিল ৭.০৫ লক্ষ প্রার্থী। পরীক্ষায় বসে ১২.৯৫ লক্ষ। অথচ আগে ডিভিশন বেঞ্চে বোর্ড জানায়, টেট ২০১৪-এ টেটে বসে ২০ লক্ষ প্রার্থী। ১.২৫ লক্ষ টেট ২০১৪-এ উত্তীর্ণ হয় বলেও জানায় বোর্ড। নম্বর গেমে সত্যি কোনটা? শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে। ২০১৪ টেট পরবর্তী, দুই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাজ্যে নিযুক্ত প্রায় ৫৮৫০০ শিক্ষক।
